Quantcast
Channel: স্বাস্থ্য – Online Khobor
Viewing all 168 articles
Browse latest View live

সমকামীপ্রবণ দেশে যেভাবে বাড়ছে যৌনসংক্রান্ত রোগ

$
0
0

সমকামীপ্রবণ দেশে যেভাবে বাড়ছে যৌনসংক্রান্ত রোগ

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

সম্প্রতি ইউরোপের সমকামীদের নিয়ে একটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা তাদের যৌন চাহিদা বা সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করেন না। তাদের মধ্যে খুবই কম সংখ্যক যুগল এইচআইভি টেস্ট এবং যথাযথ নিরোধক ব্যবহার করেন।

গবেষকরা সমকামী যুগলদের পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন তাদের মধ্যে যাদের সমকামীতার প্রতি যত বেশি উৎসাহ তারা ততোই কম এইচআইভি সম্পর্কে সচেতন। তাদের পরীক্ষা থেকে আরও জানা গেছে যেসকল দেশে সমকামীতা যত বেশি সেই দেশে যৌনসংক্রান্ত রোগ অনেক বেশি। তাদের মধ্যে যৌন সচেতনতাও কম৷

ওই সব দেশগুলিতে সমকামীদের মধ্যে নিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কম তেমনই আবার তাদের মিলনের সুযোগ বেশি। তাছাড়াও সমকামীপ্রবণ দেশগুলির যুগলরা মানসিক ভাবেও নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে উদাসীন।

The post সমকামীপ্রবণ দেশে যেভাবে বাড়ছে যৌনসংক্রান্ত রোগ appeared first on Online Khobor.


জেনে নিন লবণ হতে পারে মুশকিল আসানের মন্ত্র

$
0
0

জেনে নিন লবণ হতে পারে মুশকিল আসানের মন্ত্র

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

লবণ আমাদের প্রতিদিনের ব্যাবহার্য উপকরণ৷ একটুখানি লবণ খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে৷ সেই লবণ আবার রান্নার বাইরেও অনেকরকম কাজে লাগে৷ দৈনন্দিন নানা সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত করতে এক চিমটি লবণই যথেষ্ট৷ জেনে নিন ঠিক কী কী কাজে লবণ হতে পারে মুশকিল আসানের মন্ত্র৷

১. রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগে যায় যখন তখন৷ আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বালা কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।

২. মাছ কাটতে গিয়ে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যায়৷ তীব্র যন্ত্রণায় নাজেহাল অবস্থা হয়। কাঁটা বিঁধে যাওয়া জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন৷

৩. দাঁতে ব্যথা হলে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মুখে রেখে ফেলে দিন৷ তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না৷ পরপর তিনদিন এরকম করলে দাঁত ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে৷

৪. গলা ব্যথাতেও লবণ পানি সমান উপকারী। টনসিলের ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত কারণে গলা ব্যথায় উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গলায় কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিন৷ অনেকটা আরাম পাবেন।

৫. পোকামাকড় কামড়ে দিলে আক্রান্ত স্থান অনেক সময় লাল হয়ে ফুলে যায়। উষ্ণ গরম পানিতে লবন মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেলুন। জ্বালা বা অস্বস্তি কমে যাবে।

৬. দাঁতের হলদে ভাব সরিয়ে সাদা রঙ ফিরিয়ে আনতে লবণের সাথে খানিকটা লেবু মিশিয়ে তা দিয়ে দাঁত মাজুন। তিন দিনের মধ্যেই দাঁতের সাদা রঙ ফিরতে শুরু করবে।

৭. দাঁতের গোড়ায় ব্যথা করলে বা মাড়ি ফুলে গেলে লবণ মেশানো পানি তা উপশম করতে পারে। উষ্ণ গরম পানিতে লবন মিশিয়ে তা কিছুক্ষণ মুখে ধরে রাখুন। দুই দিন দুই বেলা নিয়মিত করলেই মাড়ির ব্যথা কমবে৷

The post জেনে নিন লবণ হতে পারে মুশকিল আসানের মন্ত্র appeared first on Online Khobor.

পেঁয়াজের রয়েছে যে বিস্ময়কর সাত গুণ

$
0
0

পেঁয়াজের রয়েছে যে বিস্ময়কর সাত গুণ

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

পেঁয়াজের রয়েছে যে বিস্ময়কর সাত গুণ। আমাদের দেশে রান্নায় পেঁয়াজ ছাড়া চলে কি? তবে এই রান্নাঘরের বাইরেও পেঁয়াজের আরো অনেক গুণ আছে। সেই অজানা গুণের ‘সাতকাহন’ তুলে ধরা হলো, যা শুনে আপনি বিস্মিত হবেন।

⇒পিঁপড়ের যম
রান্নাঘরে অনেক সময় আমাদের পিঁপড়ের উত্‍পাত সহয্ করতে হয়। কী ভাবে পিঁপড়ে তাড়াবেন, ভেবে পান না। দাগ টেনে, এটাসেটা করে, পিঁপড়ে তাড়াতে হয়। এতসব আয়োজন না করেও, সহজেই পিঁপড়ে তাড়াতে পারেন। হাতের কাছেই আছে মুশকিল আসান। পেঁয়াজ কুঁচি করে কেটে, খোলা পাত্রে রেখে দিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। সুড়সুড় করে পিঁপড়েরা পালাবে।

⇒কানের কাছে মাছির ভনভনানি
অনেক সময় কোত্থেকে অযাচিতভাবে ঘরে মাছি ঢুকে বিরক্তি করে না? যত তাড়ানোর চেষ্টা করেন, ঘুরে ফিরে আবার এক জায়গায়। সঙ্গে সন্ধ্যা হলে, মশার উত্‍‌পাত। কিছুই না, খুব যদি বিরক্ত করে, গায়ে একটু কাটা পেঁয়াজ ঘষে নিন। বা, কোনো কাপড়ের টুকরোয় পেঁয়াজের রস মাখিয়ে ফেলে রাখুন। মাছি পালাবে, মশাও থাকবে না।

⇒পুড়লে পেঁয়াজ
পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আমাদের অজানা নয়। কোনো পোড়ার ক্ষত যাতে সংক্রামিত হয়ে না পড়ে, তার জন্য পেঁয়াজ বাটা লাগাতে পারেন। তাতে পোড়ার জ্বালাও কমবে। আবার একই সঙ্গে সংক্রমণও ঠেকানো যাবে।

⇒ত্বকে কালো দাগ
অনেক সময় মুখে কালো ছোপ পড়ে। শরীরের অন্যত্রও ত্বকে কালো কালো ছোপ দেখা যায়। যা বিব্রত করে তোলার মতোই। কেন এমন হচ্ছে, তার জন্য ডাক্তার তো দেখাবেনই। কিন্তু, পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে পেঁয়াজ দিয়েও চিকিত্‍সা করতে পারেন। হলুদবাটার পেঁয়াজের রস ভালো করে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ওই কালো ছোপে লাগান। এ ভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে, মুখের কালো দাগ দূর হবে।

⇒চুল পড়ছে?
চুলে চিরুনি দিলেন, মন খারাপ? গোছা গোছা চুল উঠছে? অনেক কিছু করেও চুল-ঝরা ঠেকাতে পারছেন না? অতশত না ভেবে, পেঁয়াজ ব্যবহার করুন। তেমন কিছুই না, পেঁয়াজবাটার রস মাথায়া মাখার যে কোনও তেলের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সেই তেলের মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। শুধু চুল পড়া বন্ধই হবে না, মাথার খুশকিও কমবে।

⇒অকাল বার্ধক্য
আয়নার সামনে দাঁড়ালে মনে হচ্ছে বুড়িয়ে যাচ্ছেন? বলিরেখা দূর করতে এটা-সেটা মুখে মাখছেন? পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন। যা, আকাল বার্ধক্য ঠেকায়। তা ছাড়া, ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে বাঁচায়।

⇒জেল্লা বাড়াতে
বাড়িতে ধাতব কিছু জেল্লা হারিয়েছে? জানেন কি কিভাবে জেল্লা ফেরাতে পারেন। পেঁয়াজবাটার সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে, ভিজে কাপড় দিয়ে ভালো করে ঘষুন। পরিষ্কার তো হবেই, ফিরবে ধাতব জেল্লাও।

 

The post পেঁয়াজের রয়েছে যে বিস্ময়কর সাত গুণ appeared first on Online Khobor.

ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো করলে আপনার ওজন কমবে

$
0
0

ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো করলে আপনার ওজন কমবে

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

সারাদিন খুব নিয়ম মেনে চললেন, ব্যায়াম করলেন, ডায়েট রাখলেন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু রাত্রে ঘুমানোর আগে করলেন এমন কিছু যাতে সারা দিনে পরিশ্রমটা গেলো মাটি হয়ে! তাই ঘুমানোর আগে কিছু কাজ করুন খুব ভেবেচিন্তে, কমিয়ে ফেলুন ওজন।

১) ঘুমের আগে পান করবেন না ক্যাফেইন

ঘুমাতে যাবার আগে চা-কফি, অথবা বিভিন্ন ঠাণ্ডা কোমল পানীয় দু-এক চুমুক পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এ কাজটি মোটেই করা যাবে না। একে তো এগুলো পান করার ফলে আপনার ঘুমের বারোটা বাজবে, আর কে না জানে ঘুম ভালো না হলে ওজন বাড়ে? এসব পানীয়ের মাঝে থাকতে পারে বেশ কিছুটা ক্যালোরি যা মোটেই ভালো নয় ওজন কমানোর জন্য। আবার এগুলো পান করার পর এটা সেটা স্ন্যাক্স খাওয়ারও ইচ্ছে হতে পারে। এ কারণে ঘুমাতে যাবার আগে বরং পান করতে পারেন ঈষদুষ্ণ দুধ অথবা এক কাপ হার্বাল টি। এসব কিছুই না করে করতে পারেন মেডিটেশন। এটা শরীর থেকে স্ট্রেস দূর করে ঘুম ডেকে আনবে।

২) সকালের নাশতার পরিকল্পনা করে রাখুন

আগের দিন রাত্রেই ভেবে রাখুন সকালে নাশতা করবেন কী দিয়ে। সম্ভব হলে কিছুটা নাশতা ঠিকঠাক করেও রাখতে পারেন। এ কাজটি করলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহজ হয়। আর আপনি যদি সকালে তাড়াহুড়ার মাঝে নাশতা ঠিক করতে যান তখন ইচ্ছে হতেই পারে ঝটপট অস্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেয়ে নেবার। এ কারণে আগের রাত্রেই নাশতার মেনু ঠিক করে রাখা ভালো।

৩) লিখুন একটি ফুড জার্নাল

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুড জার্নাল খুব কার্যকরী। আপনি সারাদিন কী কী খেলেন, তা ঘুমাতে যাবার আগে লিখুন এই জার্নালে এবং লক্ষ্য করে দেখুন, আপনি অস্বাস্থ্যকর কী কী খাচ্ছেন। প্রতি রাত্রেই একটা একটা করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাদ দিন আর অগ্রসর হন ওজন কমানোর পথে।

The post ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো করলে আপনার ওজন কমবে appeared first on Online Khobor.

আপনি ঘরেই বানিয়ে ফেলুন নিরাপদ “ভ্যাসেলিন”

$
0
0

আপনি ঘরেই বানিয়ে ফেলুন নিরাপদ “ভ্যাসেলিন”

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

শীত প্রায় চলে এসেছে, শীতের এই রুক্ষতা দূর করতে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যে উপাদানটি তা হল পেট্রোলিয়াম জেলী বা ভ্যাসলিন। বাজার ঘুরলে পাওয়া যায় নানা ব্রান্ডের নানা ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলী। বাজারের পেট্রোলিয়াম জেলী নানা উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পেট্রল অন্যতম।

ঠোঁট থেকে এই পেট্রোলিয়াম জেলী পানি বা খাবারের মাধ্যমে পেটে চলে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। “ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেকে পেট্রোলিয়াম জেলি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে, এবং অনেকে বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ক্যান্সারের মত রোগের সাথে সংযুক্ত হতে পারে” এমন তথ্য পাওয়া যায় ।তাই বাজারের পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার না করে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নন-পেট্রোলিয়াম জেলী বা ভ্যাসলিন। খুব বেশি উপাদানের প্রয়োজন পড়বে না ঘরে ভ্যাসলিন তৈরি করার জন্য। আপনি ঘরেই বানিয়ে ফেলুন নিরাপদ “ভ্যাসেলিন” করার সহজ নিয়ম পাওয়া যায় ।

যা যা লাগবে

১/৮ কাপ বিশুদ্ধ মোম কুচি (প্রায় ১ আউন্স)
১/২ কাপ অলিভ অয়েলে

যেভাবে তৈরি করবেন

১। একটি প্যানে মোম এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন।
২। মোম গলে তেলের সাথে মিশে যাবে।
৩। দুইবার বলক আসলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি খালি জারে রেখে দিন।
৪। এবার জারটি জানালার পাশে বা অন্য কোন স্থানে রেখে দিন।
৫। জানালার পাশে রাখলে ৩০ মিনিটের মধ্যে দেখবেন জেলী ঘন হয়ে বসে গেছে।
৬। আপনি যদি আরও বেশি ঘন এবং নরম চান তবে এতে অলিভ অয়েলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন। দেখবেন ভ্যাসলিন অনেক বেশি নরম হয়েছে। এই নন-পেট্রোলিয়াম জেলী ভ্যাসলিনের মত ব্যবহার করতে পারবেন। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

The post আপনি ঘরেই বানিয়ে ফেলুন নিরাপদ “ভ্যাসেলিন” appeared first on Online Khobor.

ঠোঁটে ফোস্কা হলে আপনি যে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন!

$
0
0

ঠোঁটে ফোস্কা হলে আপনি যে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন!

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

ঠোঁটে বা ঠোঁটের চারপাশে অনেকেই ফোস্কাতে আক্রান্ত হন। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুখের এ ধরনের ফোস্কা হার্পস ভাইরাসের কারণে হতে পারে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ ভাইরাসটির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে রয়টার্স।৫০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের হার্পস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এটি ঠোঁটে ‘কোল্ড শোর’ তৈরি করে।

হার্পস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রথমবারের মতো তথ্য প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। তারা জানিয়েছে, এ ভাইরাসে ৫০ বছরের নিয়ে বয়স এমন ৩.৭ বিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। এ হার্পস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ ওয়ান(herpes simplex virus type 1 -HSV-1) সাধারণত ছোটবেলাতেই মানুষকে আক্রমণ করে এবং দেহে স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধে। এছাড়াও রয়েছে হার্পস টাইপ টু ভাইরাস। এতে ১৭ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৪১৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। এটি মুখগহ্বরের আলসারসহ বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। এ ভাইরাসের কারণে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোও সহজ হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নানা উপায়ে এ ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। ছোটবেলায় বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে শুরু করে তরুণ বয়সে যৌনাচারের মাধ্যমেও এটি ছড়ায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ ভাইরাসটির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে ডব্লিউএইচও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা জরুরি। আর এজন্য ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।

The post ঠোঁটে ফোস্কা হলে আপনি যে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন! appeared first on Online Khobor.

যে কারনে বাচ্চাদের ঠোঁটে চুমু দেয়া উচিৎ নয়

$
0
0

যে কারনে বাচ্চাদের ঠোঁটে চুমু দেয়া উচিৎ নয়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

আমরা সচরাচর আদর করে বাচ্চাদের ঠোঁটে চুমু দিয়ে থাকি, এতদিন এ বিষয়ে কোন বিধি নিষেধের কথা না জানলেও এবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নতুন এক সতর্কবার্তা , হ্যা আদর করে যেকোন শিশু অথবা বাচ্চাদের চুমু দেবার ব্যাপারে এবার কড়া নিষেধাজ্ঞাই দিয়েছেন তারা ।

শিশুদের ঠোঁটে চুমু দিতে বাবা-মাকে সতর্ক করে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা  বলেছেন, এটি ‘খুবই যৌন উদ্দীপনাদায়ক’; যা শিশুদের বিভ্রান্ত করে দিতে পারে।
শিশুদের ঠোঁটে চুমু দেওয়াকে সন্তানের প্রতি স্নেহের প্রকাশ হিসেবে দেখেন অনেক বাবা-মা। তবে ডা. শার্লট রেজনিক সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে যে, মুখ একটি যৌন উদ্দীপক অঞ্চল; যা যেকোনো মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে শিশুদের বিভ্রান্ত করে দিতে পারে।

‘দি পাওয়ার অব ইয়োর চাইল্ড’স ইমাজিনেশন: হাউ টু ট্রান্সফর্ম স্ট্রেস অ্যান্ড এনজাইটি ইনটু জয় অ্যান্ড সাকসেস’ বই লিখেছেন এই চিকিৎসক। তিনি বলছেন, শিশুরা চুমুকে বাবা-মায়ের মধ্যকার যৌন এবং রোমান্টিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করতে পারে। একইসঙ্গে তাদের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন তাদের বাবা-মা তাদের সঙ্গেও এই কাজ করছে।

তিনি বলেন, “এটি শিশুদের ভাবিয়ে তুলতে পারে যে, মা যদি বাবার ঠোঁটে বা মুখের কোনো অংশে চুমু দেয়, তাহলে আমি ছোট ছেলে বা মেয়ে, আমার ঠোঁটে চুমু দেওয়ার অর্থ কী।”

তবে শিশু মনোবিদদের অনেকেই এই দাবিকে প্রত্যাখান করে বলেছেন, এ ধরনের স্নেহের প্রকাশে ক্ষতির কিছু নেই।

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট স্যালি-অ্যানে ম্যাককরম্যাক বলছেন, শিশুদের ঠোঁটে চুমু দেওয়া কোনোভাবেই তাদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে না। এটা অনেকটা বুকের দুধ খাওয়ানোর মতো। শিশুদের পিঠে হাল্কা চড় দেওয়ার চেয়ে বেশি যৌন উদ্দীপক না।

The post যে কারনে বাচ্চাদের ঠোঁটে চুমু দেয়া উচিৎ নয় appeared first on Online Khobor.

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে? জেনে নিন কি করবেন

$
0
0

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে? জেনে নিন কি করবেন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারণটা হলো মাড়ির প্রদাহ। দাঁতে প্লাক বা দন্তমল জমা হওয়ার কারণে মাড়িতে প্রদাহ হয়। এটাকে বলা হয় জিনজিভাইটিস। এ সমস্যায় পরবর্তী সময়ে দাঁত ও চোয়ালের হাড়ও আক্রান্ত হয়। সেই সমস্যাকে বলে পেরিওডন্টাইটিজ। অন্য যেসব কারণে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে, সেগুলো হলো-
যেসব কারণে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়েঃ
  • ১. খুব শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা
  • ২. কৃত্রিম দাঁত ঠিকমতো ফিট না করা
  • ৩. অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন
  • ৪. রক্তের নানা রকম রোগ (যেমন লিউকেমিয়া)
  • ৫. ডেঙ্গুজ্বরের মতো সংক্রমণ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি
  • ৬. ভিটামিন ‘কে’-এর অভাব, স্কার্ভি হলে
যা করণীয়ঃ

১. রক্তক্ষরণ বেশি হলে এক টুকরো তুলা বা গজ বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে মাড়ির ওই ক্ষত জায়গাটায় চেপে ধরুন। একটু পর রক্ত পড়া বন্ধ হবে

২. বেশি রক্ত পড়লে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন আপাতত বন্ধ রাখুন

৩. নরম শলাকার টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। লবণ-পানি দিয়ে মুখ কুলি করুন। দাঁত পরিষ্কার করার তন্তু বা সুতা (ফ্লস) ব্যবহার করতে পারেন

৪. ছয় মাস পরপর দন্তমল পরিষ্কার করার জন্য দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন

৫. তামাক ও জর্দা পরিহার করুন

৬. পেয়ারা, আমলকী, জাম্বুরা, কলা, কমলা, কামরাঙা ইত্যাদি ফল, পালংশাক, পুঁইশাকসহ লাল-সবুজ-হলুদ শাকসবজি এবং সালাদ নিয়মিত খেলে ভিটামিনের অভাব হবে না

৭. মাড়ি থেকে অতিরিক্ত ও বারবার রক্তক্ষরণ এবং সঙ্গে অন্যান্য গুরুতর উপসর্গ (যেমন জ্বর, ওজন হ্রাস ও শরীরে অন্যান্য জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ) হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> একটু যত্ন নিলেই দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা আর থাকবে না।

The post দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে? জেনে নিন কি করবেন appeared first on Online Khobor.


স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর যে পেশাগুলো

$
0
0

স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর যে পেশাগুলো

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

পেশাগত কাজটাও হতে পারে স্বাস্থ্যহানিকর। দারুণ কিছু পেশা রয়েছে এ তালিকায়। দৃশ্যমান নয়। তাই আড়ালেই দায়িত্ব পালনকালে আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে চলেছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবার ডেটাবেজ এমন অস্বাস্থকর পেশার তালিকা তৈরি করেছে। কাজের কারণে তাদের কি কি ক্ষতি হচ্ছে এবং এর মাত্রা অনুযায়ী পেশাগুলোর স্কোর করা হয়েছে। শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের স্কেলে যে পেশা যত ক্ষতিকর, তার স্কোর তত বেশি। এখানে জেনে নিন সবচেয়ে ক্ষতিকর পেশার প্রথম দশটির কথা।

১০. টপ টেন তালিকার শেষে রয়েছেন সার্জিক্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট, টেকনলজিস্ট এবং টেকনিশিয়ানরা। এরা অস্ত্রপচারে সাহায্য করেন এবং ল্যাবরেটরিতে নানা ধরনের টেস্ট করে থাকেন। স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ৩টি হুমকি হলো, রোগ এবং জীবাণুর মাঝে কাজ করা, দূষণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে থাকা। ক্ষতির মাত্রায় এর স্কোর ৫৭.৩।

৯. স্টেশনারি পণ্য কারখানার প্রকৌশলী এবং বয়লার অপারেটররা আছেন নবম অবস্থানে। এরা স্টেশনারি ইঞ্জিন, বয়লার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক রাখেন এবং বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ক্ষতিকর ৩টি স্বাস্থ্যঝুঁকি হলো, দূষিত পরিবেশে অবস্থান করা, বিপজ্জনক পরিবেশ এবং হালকা বা মারাত্মক পোড়া, কাটা বা অন্যান্য আঘাত। এর মোট স্কোর ৫৭.৭।

৮. পানি এবং দূষিত পানি পরিশোধনাগারে অপারেটররা ক্ষতিকর পেশার অষ্টমে আছেন। এ পেশার মানুষগুলো পানি পরিশোধনাগারের যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সেরা ৩টি হুমকি হলো রোগ সংক্রমণের পরিবেশে কাজ করা, বিপজ্জনক পরিবেশ এবং হালকা বা ভারী পোড়া, কাটা এবং ছড়ে যাওয়া। বিপজ্জনকমাত্রার মোট স্কোর ৫৮.২।

৭. হিস্টোটেকনলজিস্ট এবং এ কাজের প্রযুক্তিবিদরা আরো ক্ষতিকর পেশায় রয়েছেন। এরা বিপজ্জনক পরিবেশ, সংক্রমণের সম্ভাবনা এবং রোগ-জীবাণুর মধ্যে কাজ করেন। ক্ষতিরমাত্রার স্কোর ৫৯.০।

৬. ইমিগ্রেশন ও কাস্টম অপারেটররা আছে ক্ষতিকর তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে। এরা মানুষ, পণ্যবাহী ট্রলি, পণ্য পরীক্ষা করাসহ নানা কাজ করে থাকেন। বিপজ্জনক কর্মপরিবেশ, রোগ-জীবাণুর সংস্পর্শ এবং রেডিয়েশনের মাঝে কাজ করেন। মোট স্কোর ৫৯.৩।

৫. পডিয়াট্রিস্টরা আছে দারুণ স্বাস্থ্যঝুঁকির মাধ্যমে। এরা মানুষের পায় সংশ্লিষ্ট রোগ পরীক্ষা, সার্জারি ইত্যাদি কাজ করেন। এরা সংক্রমণের সম্ভাবনাময় পরিবেশ, রেডিয়েশন এবং দূষিত পরিবেশে থাকেন। এর মোট স্কোর ৬০.২।

৪. পশু চিকিৎসক এবং এ কাজে সংশ্লিষ্টরা আছেন দারুণ ঝুঁকিতে। এরা পশুর রোগ নির্ণয়, গবেষণা, চিকিৎসা এবং গবেষণাগারে কাজ করেন। যেকোনো রোগ-জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনাসহ পোড়া, কাটা, কামড় ইত্যাদি ঝুঁকিতে থাকেন। ক্ষতির মাত্রায় এ পেশার স্কোর ৬০.৩।

৩. অ্যানেসথেশিয়ার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক, নার্স এবং সহকারীদের কাজ আরো বেশি ঝুঁকির। এরা রোগ-জীবাণুপূর্ণ পরিবেশ, সংক্রমণ এবং রেডিয়েশনের মধ্যে কাজ করেন। ক্ষতির স্কোর ৬২.৩।

২. ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা আছেন সবচেয়ে ক্ষতিকর পেশার দুই নম্বরে। তারা বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ইত্যাদি দেখাশোনা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশ, রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ এবং পোড়া, কাটা ও মানসিক যন্ত্রণা দারুণ অস্বাস্থ্যকর। এ পেশার মোট স্কোর ৬২.৩। এ পেশার ক্ষতির মাত্রা অ্যানেসথেশিয়োলজিস্টদের মতো হলেও ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অপেক্ষকৃত বেশি।

১. এ তালিকায় সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর পেশাখাত বলে চিহ্নিত হয়েছে দন্তচিকিৎসা। দাঁতের চিকিৎসক, সার্জন এবং অ্যাসিসটেন্টরা আছে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে। এরা সংক্রমণে ভরপুর পরিবেশ, রোগ ও জীবাণুর মধ্যে কাজ করা এবং বহু সময় বসে থেকে কাজ করেন। ক্ষতির মাত্রায় এ পেশার স্কোর ৬৫.৪।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

The post স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর যে পেশাগুলো appeared first on Online Khobor.

জেনে নিন কানে পানি গেলে কী করবেন !

$
0
0

জেনে নিন কানে পানি গেলে কী করবেন !

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

গোসলের সময় সামান্য অসাবধানতায় কানে হঠাৎ পানি ঢুকে যেতে পারে যে কারোই। একারণে কান পাকা ও তীব্র ব্যথা সহ নানান রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কানে পানি ঢুকলে অনেকেই কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। এসব করতে গেলে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, কানে পানি গেলে কী করবেন-

যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই দিকে মাথাটি কাত করুন। তারপর হাতের তালু রাখুন কানের উপরে এবং চাপ দিন। চাপ দিয়েই হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা পানি বের হয়ে গেছে। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। পানি বের হয়ে কান বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর হবে।

একটি লম্বা শ্বাস নিন, এবার দুই আঙুল দিয়ে নাকের ফুটো বন্ধ করে ফেলুন। এখন এই বন্ধ নাক দিয়েই নিঃশ্বাস ফেলার চেষ্টা করুন। খুব জোরে বল প্রয়োগ করতে হবে না, সাধারণত যেভাবে নিঃশ্বাস ফেলেন সেভাবে ফেললেই হবে। কানে আওয়াজ শুনতে পাবেন, বুঝবেন যে পানি বের করে বন্ধ কান ঠিক হয়ে গেছে।

চুইং গাম বা যে কোন কিছু চিবিয়ে খান। যেটা বেশ করে চিবাতে হয়, এমন খাবার বেছে নিন। খাবার চিবানোর সময় যে মুভমেন্ট তৈরি হবে, সেটা বন্ধ কানকে খুলে দিতে সহায়ক।

যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই কানটি বালিশে চাপা দিয়ে শুয়ে থাকুন এবং সম্ভব হলে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুম ভাঙলে দেখবেন পানির সমস্যা নেই।

হেয়ার ড্রায়ার বেশ ভালো কাজ করে এক্ষেত্রে। একদম লো-তে ড্রায়ার সেট করুন। তারপর কান থেকে ১০/১২ ইঞ্চি দূরে রেখে তাপ দিন। কানের পানির সমস্যা দূর হবে। হাই তুললেও কানের পানি বেরিয়ে বন্ধ কান খুলে যায়।

 

The post জেনে নিন কানে পানি গেলে কী করবেন ! appeared first on Online Khobor.

এবার তেজস্ক্রিয় ব্যান্ডেজ নিরাময় করবে ত্বকের ক্যান্সার

$
0
0

এবার তেজস্ক্রিয় ব্যান্ডেজ নিরাময় করবে ত্বকের ক্যান্সার

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

এবার তেজস্ক্রিয় ব্যান্ডেজ নিরাময় করবে ত্বকের ক্যান্সার । ক্যান্সারের চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি হলো রেডিওথেরাপি। উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রয়োগে সাধারণত ত্বকের ক্যান্সার নিরাময় করা হয়। এটা স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিজ্ঞানীরা এ কাজে বিশেষ ধরনের ব্যান্ডেজ বানানোর চেষ্টা করছেন যাকে তারা বলছেন ‘রেডিওথেরাপিউটিক ব্যান্ডেজ’। এই ব্যান্ডেজটিরেডিওথেরাপির কাজ করবে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্টিস্টস-এর এ বছরের বার্ষিক সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রদিবেদন প্রকাশ করেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাসের এক দল গবেষক।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, সাধারণত অতিরিক্ত সূর্যকিরণে থাকলে ত্বকে ক্যান্সার হয়। একে বলা হয় স্কোয়ামোস সেল কারসিনোমা (এসসিসি) যা কিনা নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সারের একটি ধরন।আমেরিকার স্কিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশন জানায়, দেশটিতেপ প্রতিবছর ৭ লাখ মানুষ এসসিসি-তে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালেই এ রোগে ৩৯০০-৮৮০০ জন মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করেন। পৃথিবীর সব দেশেই সূর্যের অতিবেগুনীরশ্মির প্রভাবে ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে।

এসসিসি সাধারণত ত্বকের উপরিভাগে দানা বাঁধে এবং ছড়িয়ে যায়। সাধারণত এ ধরনের টিউমার সার্জারির মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এর সঙ্গে দেওয়া হয় রেডিয়েশন থেরাপি। এই থেরাপি বেশ কাজের। এর জন্যে বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং বিশেষ পরিবেশ প্রয়োজন।ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাসের কলেজ অব ফার্মেসির গবেষক ড. অ্যান্থোনি ডি পাসকোয়া এবং তার সহকর্মীদের একটি দল রেডিওথেরাপি প্রদানের বিকল্পব্যবস্থা বের করতে এ গবেষণা চালান। আর সে উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এ ধরনের ব্যান্ডেজ বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

ড. অ্যান্থোনি বলেন, রেডিওথেরাপিউটিক এবং কেমোথেরাপি দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা থেকেই ব্যান্ডেজ বানানোর চিন্তা মাথায় আসে। সুষ্ঠুভাবে রেডিওথেরাপি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাসের বিষয়েও মন দেওয়া হয়েছে।

এই ব্যান্ডেজ বানাতে গবেষকরা ন্যানোপার্টিক্যাল বেছে নিয়েছেন। এতে ‘ইলেকট্রোস্পিনিং’ নামের বিশেষ প্রযুক্তিগত কৌশলের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ইলেকট্রিক চার্জের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের তরল থেকে পাতলা সুতা তৈরি করা হয়। এই সুতায় তেজস্ক্রিয় পলিমার থাকে।

আপাতত ইঁদুরের ওপর এই ব্যান্ডেজ পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। এদের দেহের টিউমারে ব্যান্ডেজ ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন ১ ঘণ্টার জন্যে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। ১৫ দিন শেষে প্রায় ১০টি ইঁদুরের দেহের টিউমার পুরোপুরি নিরাময় হয়েছে।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আরো কিছু নিশ্চিত পরীক্ষা শেষে তা মানুষের দেহে শতভাগ কার্যকারিতা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে।

সূত্র : এমএসএন

The post এবার তেজস্ক্রিয় ব্যান্ডেজ নিরাময় করবে ত্বকের ক্যান্সার appeared first on Online Khobor.

ডায়েট সোডা যেভাবে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়

$
0
0

ডায়েট সোডা যেভাবে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ বিষয়টি অনেকের জানা থাকলেও ‘ডায়েট’ কোমল পানীয় (যেমন ডায়েট কোক, ডায়েট সোডা) স্বাস্থ্যের জন্য কতোখানি ক্ষতিকর তা নিয়ে অনেকেই দ্বীধায় ছিলেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ডায়েট কোমল পানীয়ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি এ পানীয় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিএনএন।

হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে সোডা কিংবা ডায়েট সোডার কারণে। সুইডিস এক গবেষণায় সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর তথ্যই জানা গেছে। এতে জানা গেছে, যারা দিনে কমপক্ষে দুটি মিষ্টি পানীয় পান করে তাদের হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ২৩ শতাংশ বেশি।এ গবেষণায় ৪২ হাজার সুইডিস ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের ১২ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে ডায়েট সোডার এ ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হন গবেষকরা।

এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক ও স্টকহোম ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের গবেষক ড. সুসানা ল্যারসন বলেন, ‘এ গবেষণার বক্তব্য হলো, যারা নিয়মিত মিষ্টি পানীয় পান করেন তাদের এ পান সীমিত করার কথাটি বিবেচনা করা উচিত। কারণ এটি হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ।’

যখন হৃৎপিণ্ড শরীরে পাম্প করার মতো উপযুক্ত রক্ত ও অক্সিজেন সাপোর্ট পায় না তখন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ছয় মিলিয়ন মানুষ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ সমস্যায় ভোগে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে।

The post ডায়েট সোডা যেভাবে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায় appeared first on Online Khobor.

প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমানোর কার্যকরী ফর্মুলা !

$
0
0

প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমানোর কার্যকরী ফর্মুলা !

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কত শত ডায়েট কত শত ব্যায়াম কত কিছুই না করা হল। কিন্তু কোন কিছুতে তেমন কোন লাভ হল না। আপনি কি জানেন একটি মাত্র উপায়ে প্রতিদিন ১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব একটি ডায়েট ড্রিংকের মাধ্যমে। এই ডায়েট ড্রিংকটি নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে লেবুর রস খুব দ্রুত শরীরের মেদ কাটতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি একদিনে ১ কেজি ওজন কমিয়ে থাকে। লেবুর রস প্রাকৃতিক অস্ত্র যা দেহের চর্বি পুড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এটি দেহের বিষাক্ত টক্সিন দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

যা যা লাগবে

  • ৮ কাপ পানি
  • ৬টি লেবুর রস
  • ১/২ কাপ মধু
  • ১০ টি পুদিনা পাতা
  • কয়েকটি বরফ কুচি

যেভাবে তৈরি করবেন

১। পানি হালকা গরম করে নিন। খুব বেশি গরম করবেন না।

২। পানি, লেবুর রস, মধু, পুদিনা পাতা, সব একসাথে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।

৪। কয়েক ঘণ্টার পর বের করে পান করুন।

৫। এক কাপ পানি একটি বরফ কুচি দিবেন এর বেশি না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা শরীরের শক্তি হ্রাস করে থাকে।

কখন খাবেন

• প্রতিদিন নাস্তা খাওয়ার আগে এক গ্লাস লেবুর পানি খান। সকালের নাস্তায় খাবেন সালাদ এবং ফল।

• সকাল ১১ টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খাবেন সাথে অল্প কিছু ভাজা বাদাম খেতে পারেন।

• দুপুরের খাবারে একটি ডিম সিদ্ধ এবং অলিভ অয়েল ও আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে লেটুস সালাদ খাবেন।

• বিকেল ৪টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খান। এর সাথে আপনার পছন্দের কোন ফল খেতে পারেন।

• রাতের খাবারে এক টুকরা মাছ বা মাংস খেতে পারেন। তার সাথে সালাদ খেতে পারেন।

• রাতের খাবারের ২ ঘন্টার পর আরেক গ্লাস লেবু পানি পান করুন।

এটি ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। তবে আপনি যদি শরীরের টক্সিন উপাদান বের করতে চান তবে দিনে কয়েকবার লেবু পানি খেলে চলবে।

লেবু পানির এই ড্রিংকটিকে “Beyonce’s Diet” বলা হয়ে থাকে। কারণ সুপার স্টার বিয়ন্সে এই ড্রিংকটি পান করে ৩৮ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছিলেন।

পরামর্শদাতা
আনিকা শাহ্‌জাবিন
পুষ্টিবিদ
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

The post প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমানোর কার্যকরী ফর্মুলা ! appeared first on Online Khobor.

দুর্গন্ধ পায়ে ! জেনে নিন ঘরোয়া সমাধানের কয়েকটি সহজ টিপস

$
0
0

দুর্গন্ধ পায়ে জেনে নিন ঘরোয়া সমাধানের কয়েকটি সহজ টিপস

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

পায়ে কি খুব দুর্গন্ধ হয় আপনার? ঘরে বাইরে সে জন্য নানা অস্বস্তিতেও পড়েন। মুখে কেউ কিছু না বললেও সহকর্মী বা বন্ধুরা হয়তো এর জন্য আড়ালে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। গ্রীষ্ম হোক বা শীত— সারা বছরই কি এ সমস্যায় জেরবার আপনি? আর চিন্তা নেই। জেনে নিন পা-কে দুর্গন্ধ মুক্ত করার কয়েকটি সহজ টিপস।

চা পাতার কেরামতি

১) ফুটনো চা-পাতা দিয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট করে পা ভিজিয়ে রাখুন৷ এতে পা কম ঘামবে।

২) ফুটানো চা-পাতার অ্যাসিড জীবাণুনাশক।

জরুরি মোজা

১) জুতোর সঙ্গে মোজাও পরুন। পাতলা সুতির মোজা পায়ের ঘাম শুষে নেয়। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না।

২) প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করবেন না।

অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল ফুট পাউডার

১) অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল ফুট স্প্রে ব্যবহার করুন।

২) অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন।

পাল্টে পরুন জুতো

১) প্রতিদিন জুতো পাল্টে নিন। একই জুতোতে পায়ে ঘাম বেশি হয়।

২)  পায়ের পাতায় অক্সিজেন লাগালে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে যায়। ফলে দুর্গন্ধও হবে না।

পায়ে লাগুক হাওয়া

১) ঢাকা জুতো না পরে খোলা জুতো পরুন।

২) যদি একান্তই ঢাকা জুতো পরতে হয় তা হলে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে জুতো খুলে নিয়ে পাযে হাওয়া লাগান।

 

The post দুর্গন্ধ পায়ে ! জেনে নিন ঘরোয়া সমাধানের কয়েকটি সহজ টিপস appeared first on Online Khobor.

জেনে নিন আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়

$
0
0

জেনে নিন আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

বর্তমানে বেশির ভাগ মেয়েরাই পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন। আপনি কর্মরতা হোন বা গৃহবধূ— কোন না কোনও বয়সে হয়তো এই সমস্যায় পড়েছেন। অথবা আপনারই কোনও প্রিয়জন পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন। জানেন কি কেন আপনার এই সমস্যা হয়? জেনে নিন অনিয়মিত পিরিয়ডের কয়েকটি কারণ। এর কোনও লক্ষণ আপনার মধ্যেও থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। জেনে নিন আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়।

অতিরিক্ত ডায়েট
অতিরিক্ত ডায়েট করলে কিংবা হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে পিরিয়ডের সমস্যা হয়।

বিড়ম্বনা যখন ব্যায়াম
অতিরিক্ত ব্যায়াম করলেও পিরিয়ডে দেরি হতে পারে।

থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় বেশিরভাগ মেয়ের পিরিয়ডের সমস্যা হয়।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোনাল সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদন কমে যাওয়ায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের সমস্যা হয়। ফলে পিরিয়ড দেরিতে হয়।

স্ট্রেস
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে পিরিয়ডে দেরি হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

The post জেনে নিন আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয় appeared first on Online Khobor.


আপনি জানেন কি স্বপ্নে রাতে যৌনতা কেন হয়

$
0
0

আপনি জানেন কি স্বপ্নে রাতে যৌনতা কেন হয়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

আপনি জানেন কি স্বপ্নে রাতে যৌনতা কেন হয় । আমরা সকলেই কোনও না কোনও সময় যৌন বিষয়ক স্বপ্ন দেখি। কিন্তু তার মানে সেই মুহূর্তে মনে তীব্র যৌন আকাঙ্খা জেগেছে, এমন না-ও হতে পারে। যৌন স্বপ্নের জট ছাড়ালেন বিশেষজ্ঞরা।মনোবিদরা বলেন, স্বপ্ন হল অবচেতনের জানালা। তবে সেই জানালায় উঁকি দিলে পয়লা দর্শনে অনেক সময়েই আসল অর্থ উদ্ধার করা যায় না। এমন হতেই পারে, তীব্র যৌন উন্মাদনাময় স্বপ্নের ভিত কোনও কামোত্তেজক উপাদানের মধ্যে আদৌ রাখা নেই। ধরা যাক, স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে যৌনমিলনের স্বপ্ন দেখল কোনও ছাত্র। মনোবিদদের ব্যাখ্যা, এক্ষেত্রে ওই শিক্ষিকার প্রতি কোনও যৌন আকর্ষণ নয় বরং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছেলেটির প্রবল অসন্তোষই এমন স্বপ্নের জন্ম দিয়েছে। মনোবিদ হরিশ শেট্টি যৌন স্বপ্নের কয়েকটি বিশেষ দিক সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন।

সবই মনের খেয়াল:

স্বপ্নের মানে বোঝা দুরূহ কারণ একেক জনের ক্ষেত্রে তার অর্থ ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত কিছু মূল উপাদানের পরিবর্তন ঘটে না। যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকি, তখন সারা দিন আমাদের মন কী কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে অবচেতন তা তুলে ধরে। সামাজিক বাধ্যবাধকতায় আটকে থাকা যৌন আকাঙ্খা অনেক সময় স্বপ্নের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। শেট্টির ব্যাখ্যা, ‘বয়ঃসন্ধির সময় যৌন ইচ্ছা প্রবল হয় এবং সুস্বাদু খাদ্য, আনন্দঘন চিন্তা বা পছন্দসই খেলাধুলোর মতো যে কোনও ভালো লাগা থেকেই স্বপ্নে যৌন ইচ্ছা জাগতে পারে।’

মানুষ কয়েকটি সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায় যেমন- জন্মগ্রহণ, নিঃশ্বাস নেওয়া, খাদ্য গ্রহণ করা, বেদনা অনুভব করা, আনন্দ উপভোগ করা এবং যৌন কামনা। এর মধ্যে একমাত্র যৌন ইচ্ছাকেই সচেতন ভাবে রোখা যায়। শেট্টির মতে, ‘মানুষ তার যৌন কামনাকে অন্য পথে চালিত করতে শিখেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, পুরোহিতরা ধর্মাচরণের মাধ্যমে যৌন ইচ্ছা দমন করেন।’

নিষিদ্ধ চিন্তা:

মনোবিদ শেট্টি জানিয়েছেন, সচেতন মন যে সমস্ত ঘটনা বা সেই সম্পর্কে চিন্তা করা অনুচিত মনে করে, অবচেতন সেই সমস্ত ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়বস্তু উন্মুক্ত করে। স্বপ্নে রক্তপাত, প্রকাশ্যে উলঙ্গ হওয়া, সমকামিতার দৃশ্য দেখলে মনোবিদের সাহায্যে তা খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, ‘এক সময় আমার কাছে এক রোগী এসেছিলেন যিনি প্রায়ই কলার কাঁদির স্বপ্ন দেখে আতঙ্কে মাঝরাতে জেগে উঠতেন। পরিণত বয়সেও তিনি অন্ধকার ভয় পেতেন এবং বিয়ে করার ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলার পর জানা গেল, শৈশবে এক কাকা তাঁকে নিয়মিত যৌন পীড়ন করতেন।’

স্মৃতি কথা বলে:

যদি একই স্বপ্ন বার বার দেখে আতঙ্ক জাগে এবং তা দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তবে অবিলম্বে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আসলে মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কোনও পাপবোধ থেকেই এমন অবস্থা দাঁড়ায়। মনোবিদের কাজ, রোগীর মন থেকে সেই পাপবোধ মুছে ফেলা এবং তাঁর মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা অনুতাপের ভূত তাড়ানো। অনেক সময় অসুখী শৈশব স্মৃতি মনের গভীরে জমা থাকে যার থেকে পরবর্তীকালে অহেতুক আতঙ্ক, দুঃখ বা রাগ তৈরি হয়। এই সমস্ত অনুভূতি স্বপ্নের মাধ্যমে মুক্তি পায়। যৌন স্বপ্ন এই সমস্ত অবদমিত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

বার বার দেখা কয়েকটি স্বপ্নের মানে:

প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবী অথবা অফিসের বসের সঙ্গে যৌন সংসর্গ: বন্ধু বা বসের চরিত্রের কোনও বৈশিষ্টের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ এবং নিজের মধ্যে সেই গুণ ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছা থেকেই এই স্বপ্নের সূত্রপাত।

প্রকাশ্যে যৌন মিলন:

এই স্বপ্নের দু’টি অর্থ হয়। যদি স্বপ্নে দেখা ভিড়ের নজর ও মন্তব্য থেকে আত্মসচেতনতা তৈরি হয় তা হলে বুঝতে হবে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে লোকে কী ভাবছে সেই সম্পর্কে আপনি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কিন্তু যদি স্বপ্নের পরিস্থিতি আপনাকে তৃপ্ত করে তার অর্থ লাগামছাড়া যৌন জীবনের প্রতি আপনার তীব্র আসক্তি রয়েছে।

পরকীয়ার স্বপ্ন:

যদি বিয়ের ঠিক আগে এমন স্বপ্ন দেখেন, তা হলে তা জীবনের আসন্ন পরিবর্তন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ছাড়া কিছু নয়। এই নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু স্থায়ী সম্পর্কে জড়িত থাকাকালীন অবৈধ যৌনতার স্বপ্ন দেখা মানে আপনার ভালোবাসার সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে, যা মনের ভিতর শূন্যতা তৈরি করেছে।

সমপ্রেমের স্বপ্ন:

এই স্বপ্নে যা দেখা যায়, বাস্তবের সঙ্গে তার মিল না-ই থাকতে পারে। স্বপ্নের অন্তর্নিহিত অর্থ, নিজের ব্যক্তিত্বের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নারীসুলভ বা পুরুষসুলভ বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে আপনি গর্বিত। গর্ভবতীরা অনেক সময় সমপ্রেমের স্বপ্ন দেখেন কারণ এই সময় শরীরে নারীসত্তার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। গর্ভাবস্থায় সমপ্রেমের স্বপ্ন আসলে কোনও কামবিকৃতি অথবা যৌন মানসিকতা বদলের পরিচায়ক নয়, বরং এক নারীর পূর্ণতাপ্রাপ্তির উদযাপন।

সূত্র: এই সময়

The post আপনি জানেন কি স্বপ্নে রাতে যৌনতা কেন হয় appeared first on Online Khobor.

মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী জানেন

$
0
0

মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী জানেন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

মুখে দুর্গন্ধ একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী জানেন। এ সমস্যা কেন হয় এবং প্রতিরোধে কী করা যায়, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ আলম। আজ ৫ নভেম্বর, এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২১৯৬ পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : মুখের দুর্গন্ধ তো রীতিমতো সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। যাঁর এই সমস্যা আছে, তিনি নিজেও খুব জটিল অবস্থার ভেতর দিয়ে যান। মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী?

উত্তর : আমরা অনেককেই দেখি, কথা বলতে গিয়ে মুখে রুমাল চেপে যাচ্ছে। অথবা দেখা যাচ্ছে হাত দিয়ে ঢেকে কথা বলছে। অথবা কথা বলতেই চাইছে না, এমনই অবস্থা! কারণ, সে নিজে নিজেই আতঙ্কগ্রস্ত যে মুখে গন্ধ হচ্ছে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে গন্ধ আসছে। একে আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলি হেলিটোসিস। সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ না করা হলে দাঁতে ক্যারিজ হয় বা দাঁতে গর্ত হয়ে যায়। এখানে অনেক সময় খাবার জমে থাকে। এই খাবার জমে, পচে প্লাক সৃষ্টি করে এবং জিহ্বার ওপরও এক ধরনের আবরণ পড়ে যায়। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়া বেশ কিছু খাবারের কারণেও দুর্গন্ধ মুখে চলে আসে। যেমন—পেঁয়াজ, রসুন। এই গন্ধ বেশ কিছুক্ষণ থেকে যায়। আবার কেউ যদি ধূমপান করে, সে ক্ষেত্রেও গন্ধটা রয়ে যায়। পান-সুপারি বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।

কিছু পদ্ধতিগত (সিস্টেমিক) অসুখের কারণেও মুখে সমস্যা হয়। যেমন—রেসপিরেটরি ইউট্রাক্ট ইনফেকশন, ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া; সে ক্ষেত্রেও মুখে গন্ধ হতে পারে। আবার ডায়াবেটিস থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। লিভারের সমস্যা থাকলেও হতে পারে। এ ছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, তাঁদেরও এটি হতে পারে। অনেক কারণ রয়েছে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার।

 ডা. মাহমুদ আলম।

প্রশ্ন : কী কারণে মুখের দুর্গন্ধ হচ্ছে সেটি কি বোঝার উপায় আছে রোগীদের ক্ষেত্রে? নাকি কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গেলেই বোঝা যাবে?

উত্তর : বাইরে থেকে তো রোগী বুঝতে পারবেন না যে কী কারণে সমস্যাটি হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। অবশ্যই দন্ত চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। তখনই জানা যাবে আসল কারণ।

প্রশ্ন : এ জাতীয় সমস্যা নিয়ে রোগীরা আপনাদের কাছে এলে প্রথমে কী দেখেন?

উত্তর : দেখা গেল হয়তো ব্যক্তির মুখে অনেক প্লাক জমে আছে। সে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করেনি। অথবা ভুলভাবে দাঁত ব্রাশের কারণেও এ সমস্যা হয়ে যায়। খাবার জমে থাকলে তো হবেই। এ ছাড়া যখন দেখা যায়, স্থানীয় (লোকাল) কোনো কারণ নেই, তখন পদ্ধতিগত রোগের কারণে হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে হয়। প্রধানত দেখা যায়, স্থানীয় কারণগুলোই সব সময় বেশি থাকে রোগীর ক্ষেত্রে।

প্রশ্ন : যে কারণেই সমস্যা হোক না কেন, সাধারণত চিকিৎসা কীভাবে শুরু করেন?

উত্তর : প্রথমেই আমরা স্কেলিং ও পলিশিং করি। এতে মুখকে পুরোপুরি পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। রোগীকে মাড়ি ম্যাসাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পর রোগীকে কিছুদিন পর আবার চেকআপ করতে আসার জন্য বলা হয়।

প্রথমে স্কেলিং, পলিশিং ও জিহ্বা পরিষ্কার করতে বলা হয় তাকে। এসিডিটি থাকলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়, ডায়াবেটিস থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মুখ শুষ্ক থেকে যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা যেহেতু স্যালাইভা উৎপন্ন করতে পারে না, তাই এ দুর্গন্ধ চলে আসে।

প্রশ্ন : আপনি বলছিলেন স্কেলিং ও পলিশিংয়ের পরামর্শ দেওয়ার কথা। এর পর কি আরো সমস্যা হতে পারে? আপনারা আর কী কী পরামর্শ দেন?

উত্তর : শুধু স্কেলিং বা পলিশিং নয়, আমরা সেখানে দেখি কোনো গর্ত আছে কি না। যেখানে খাদ্যকণা আটকে থাকছে, অথচ সে বের করতে পারছে না। তাই এ রকম হলে আমরা গর্তটি ঠিক করার চেষ্টা করি।

আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আক্কেল দাঁতের সমস্যা। অনেকের আঁকাবাঁকা দাঁত থাকে। যতই চেষ্টা করুক, ময়লা বা খাবারের কণা বের করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে যদি দেখি আক্কেল দাঁত অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে, তখন বলি এটি তুলে ফেলেন, যেহেতু আক্কেল দাঁতের তেমন কোনো কাজ নেই। অনেক রোগী আবার শুনে ভয় পায়। বলে, কেন আমি দাঁত ফেলে দেব? তখন তাদের বলা হয়, যেহেতু দাঁতটির কোনো কাজ নেই, এখানে খাদ্যকণা আটকে মুখে আরো বেশি দুর্গন্ধ হতে পারে।

প্রশ্ন : মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে সব সময় কী করণীয়?

উত্তর : প্রথম কথা হলো, সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে দিনে দুবার। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে এবং সকালে নাশতা খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁত ব্রাশের সঠিক পদ্ধতিও জানতে হবে; গুণগত মানের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন : অনেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করছে। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করছে। এ বিষয়টি নিয়ে একটু দ্বিধা রয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?

উত্তর : আসলে সকালবেলা নাশতা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা ঠিক। কারণ, হয়তো রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে গেল সে। এ ক্ষেত্রে তো আর কোনো খাবার কণা আটকে নেই; ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের আশঙ্কা নেই। তবে দেখা যাচ্ছে, সকালে উঠে আবার দাঁত ব্রাশ করছে। যদি সকালে উঠে আবার ব্রাশ করে, তবে ধীরে ধীরে দাঁত ক্ষয়ের দিকে চলে যাবে ভুল ব্রাশ করার জন্য। এ জন্য বলা হয়, সকালে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করবেন। এর পর অনেকটা সময় আর দাঁত ব্রাশের দরকার পড়ে না।

আর যদি দেখা যায় দাঁতের ফাঁকের ময়লা বা খাদ্যকণা বের করতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফ্লস বা নাইলন সুতা সেটি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা টুথপিক ব্যবহার করতে পারে। একই সঙ্গে মাড়ি ম্যাসাজ করতে হবে এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন : নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তর : মাউথওয়াশ দুর্গন্ধ রোধে ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন রোধে রক্ষা করবে। তবে টানা তিন মাসের বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়।

প্রশ্ন : মাউথ ব্রেথনার বা ব্রেথ ফেশনার বলে কিছু পণ্য রয়েছে বাজারে। মুখের দুর্গন্ধ রোধে এগুলো কি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে?

উত্তর : তেমন কার্যকর নয়। তবে হালকা সময়ের জন্য দুর্গন্ধ দূর করে। আরেকটি পরামর্শ হলো, সুগার ফ্রি চুইংগাম মুখে রাখা যেতে পারে। এতে মুখের দুর্গন্ধ কিছুটা হলেও কমে যায়।

প্রশ্ন : যদি এ জাতীয় সমস্যা বেশি দিন থাকে, তাহলে কী কী জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : লোকাল ও সিস্টেমিক কারণে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। যদি লোকাল কারণে প্লাক জমে যায়, তাহলে আগে আগে দাঁত পড়ে যাবে। প্লাক জমতে জমতে একপর্যায়ে স্টোন হবে বা ক্যালকুলাস হবে। দাঁত থেকে মাড়ি ধীরে ধীরে সরে যাবে। সে ক্ষেত্রে দাঁত নড়ে যাবে। প্লাক, ক্যালকুলাস এবং মুখে দুর্গন্ধ একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত।

সিস্টেমিক রোগের বেলায় ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া—এসবের ক্ষেত্রে রোগীকে সাবধান থাকতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে একে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি শুষ্ক মুখ হয়, যেটি জেরোস্টোমিয়া, এর সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।

প্রশ্ন : কী চিকিৎসা রয়েছে এ ক্ষেত্রে?

উত্তর : স্যালাইভা বা লালা আরো বেশি তৈরি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা টকজাতীয় খাবারও অনেক সময় পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ ছাড়া ওষুধ থাকে, কৃত্রিম স্যালাইভা থাকে—এগুলো দেওয়া হয়।

প্রশ্ন : ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মুখে কীভাবে যত্ন নিতে হবে?

উত্তর : প্রথমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সুগার ফ্রি সবকিছু খেতে বলি। সুগার ফ্রি খাদ্য না খেলে মুখে গন্ধটা হয়।

The post মুখের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ কী জানেন appeared first on Online Khobor.

নবজাতকের পরিচর্যা কিভাবে করতে হবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

$
0
0

বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

শিশু জন্মের পর মা বা পরিবারের লোকজন তার যত্নআত্তি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যান। দুধ খাওয়ানো, গোসল করানো, পায়খানা-প্রস্রাব ঠিকমতো হলো কি না—এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মনের ভেতর। নবজাতকের পরিচর্যা কীভাবে করতে হবে, এ বিষয়ে কথা বলেছেন আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও নিউনেটাল আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসিম জাহান

প্রশ্ন : নবজাতকের পরিচর্যা প্রত্যেক মায়ের জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যাঁরা নতুন মা হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে। নবজাতকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত?

উত্তর : প্রথমেই যে প্রসঙ্গটি আসে, একটি বাচ্চা প্রসবের পর মায়ের খুব চিন্তা হয় বাচ্চা কী খাবে? খাওয়ার বিষয়টি প্রথমে বলতে চাই। প্রথমেই মায়ের শাল দুধ বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে ঘন ঘন দুধ খাওয়ালে খুব দ্রুত মায়ের দুধের উৎপাদন বাড়বে।

২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ তেমনভাবে উৎপাদন হয় না। দুধ সেভাবে আসে না। তখনই আমাদের দেশে যে বিষয়টি হয়, বাইরের দুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। সে জন্য যেটা প্রয়োজন, সঠিক নিয়মে বারবার মায়ের দুধ যদি টানানো যায়, তাহলে দুধ আসবে। সে ক্ষেত্রে মায়ের মস্তিষ্কে একটি সংকেত যাবে দুধ তৈরি করার জন্য। প্রথমে এই সংকেত থাকে না। শিশু যখন দুধ চোষে, সে সময় মস্তিষ্কে সংকেত যায় এবং দুধ তৈরি হয়। তখন হতাশ হয়ে যাওয়া চলবে না।

অনেক সময় দেখা যায়, মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কিছু খাওয়ায়। মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। মায়ের শাল দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ মুখে মিসরি দিয়ে দেয় বা মধু দিয়ে দেয়; এটি আসলে ঠিক নয়। এতে শিশুর দুধ চোষার বিষয়টি কমে যায়। শিশুকে বারবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

প্রশ্ন : শাল দুধে প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম; সেটি সবাই জানি। এই শাল দুধ কখন আসবে এবং দেখে কীভাবে বোঝা যাবে এটি শাল দুধ?

উত্তর : শাল দুধ একটু হলুদ রঙের থাকবে, ঘন হবে। সেটিই প্রথম খাওয়াতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ আসতে থাকবে। পরে দেখা যাবে সাদা দুধটি চলে আসছে।

প্রশ্ন : নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধ প্রধান খাবার। তবে কখনো কখনো দেখা যায় তাকে হয়তো পানি বা বাড়তি কিছু দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন?

উত্তর : ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে শিশুর যে বন্ধন রয়েছে, এটিও ভালো হবে। এ ছাড়া জীবাণু থেকে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শিশু মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে পেয়ে থাকে।

প্রশ্ন : নবজাতকের প্রস্রাব-পায়খানার বিষয়টি নিয়ে মা-বাবারা খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুটি হয়তো ঘনঘন পায়খানা করছে। আসলে একটি নবজাতক বা একটি বাচ্চার কী রকম হারে প্রস্রাব-পায়খানা হওয়া উচিত?

উত্তর : যতবারই শিশু বুকের দুধ খাবে, ততবারই প্রস্রাব করবে। জন্মের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেহেতু কম দুধ পেয়ে থাকে, সেহেতু কম প্রস্রাব করতে পারে। এটি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। শিশু জন্মের পাঁচ দিন পর থেকে শিশু ১০ থেকে ১২ বার প্রস্রাব করে থাকে। পায়খানার বিষয়টিও তাই। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে পায়খানাটি হয়, সেটির রং কালো থাকে। একে সাধারণত মিকোনিয়াম বলে থাকি। এই মিকোনিয়াম সাধারণত দুই দিন পর থেকে হলুদাভ হয়। একেকটি শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম বিষয় থাকে। দেখা যায়, কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে, মায়ের দুধ যারা খায়, একবার দুধ খেল, একটু পায়খানা করল। একে সাধারণত গ্যাসট্রোকলিক রিফ্লেক্স বলি। এটি খুব স্বাভাবিক। অনেক মা খুব চিন্তিত থাকেন বিষয়টি নিয়ে। ভাবেন, সম্ভবত শিশুর ডায়রিয়া হয়ে গেছে। বিশেষ করে এক মাস বয়সে যখন এগুলো হয়।

শিশুদের মলত্যাগ করার প্রক্রিয়া একেকটি শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। যারা মায়ের দুধ খায়, তাদের এক রকম যারা; ফরমুলা দুধ যারা খায়, তাদের এক রকম। সাধারণত মায়ের দুধ যারা খায়, দেখা যায় কোনো কোনো শিশু ৮ থেকে ১০ বার করে পায়খানা করে। যতবার সে মায়ের দুধ খাবে, ততবারই সে পায়খানা করতে পারে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।

আবার অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো শিশু সপ্তাহে একবার বা দুবার পায়খানা করে। এক মাস পর থেকে দেখা যায়, এই পরিবর্তনগুলো আসে। প্রথমে এই পরিবর্তনগুলো হয় না। পরে এই পরিবর্তনগুলো শুরু হতে থাকে। তখন মায়েরা চিন্তিত হয়ে যান, এক মাস ধরে তো শিশুটি নিয়মিত পায়খানা করত, এখন কেন এমন হচ্ছে? আসলে বলা যায়, বুকের দুধ কোনো শিশুর দ্রুত হজম হয়ে যায়, ফলে পায়খানা তৈরিও কম হয়। এবং শিশুরা পায়খানাও কম করে। সে ক্ষেত্রে সাত দিনে যদি একবার করে সেটাও স্বাভাবিক, আবার সাত দিনে যদি আট-দশবার করে সেটিও স্বাভাবিক। আবার অনেক শিশু দেখা যায়, দুই-তিন দিন পরপর পায়খানা করে, সেটিও স্বাভাবিক। এগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।

প্রশ্ন : তাহলে চিন্তার বিষয় কখন হবে?

উত্তর : চিন্তা তখনই করবে, যখন একই ধরনের হয়তো পায়খানা করত হঠাৎ করে তার পরিমাণ বেশি হলো, পায়খানার রংটি হলুদ থেকে বাদামি বা লাল হয়ে যাচ্ছে। রক্ত আসছে পায়খানা থেকে। তখন তার আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, প্রস্রাব কয়বার করছে। পায়খানার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি প্রস্রাবও ঠিকমতো করে, তবে সেটা নিয়ে চিন্তা করব না। তবে যদি দেখি, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে বাচ্চার পানিশূন্যতা হচ্ছে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায় নবজাতকের গোসলের বিষয়টি নিয়ে অনেকে খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন, আসলে কখন গোসল করানো উচিত এবং কীভাবে করাতে হবে?

উত্তর : আসলে নাভিটি পড়তে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। বলা হয়, নাভিটা শুষ্ক রাখাই ভালো। তখন গোসল না করিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে। আমরা বলি, কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দেবেন। নাভির অংশটি যেন শুষ্ক থাকে, সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এর পর যখন নাভি পড়ে যাবে, তখন দেড় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে সপ্তাহে দুদিন গোসল করাবে। প্রতিদিন করানোর প্রয়োজন নেই। তিন দিন পরপর একদিন গোসল করবে। আর বাকি দিনগুলোতে গা মুছিয়ে দিতে হবে। শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। বাজারে যে বেবি শ্যাম্পু বা সাবান পাওয়া যায়, সেটি দিয়ে তাকে গোসল দিতে হবে।

এর পর আসে তেল দেওয়ার বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত বলে থাকি, শিশুর দেড় মাস হওয়ার আগে তেল না দেওয়াই ভালো। কারণ শিশুদের ত্বক পাতলা থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ হয়। এ সময় তেল দিলে অনেকের ক্ষেত্রে র‍্যাশ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলি, দেড় মাস পরে তাকে তেল, লোশন দেওয়া যাবে। গোসলের আগে তেল দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে হবে।

প্রশ্ন : আমরা আগে দেখতাম, মা-খালারা গোসলের পর সরিষার তেল গায়ে মেখে রোদে দিয়ে রাখতেন। শিশুকে সরিষার তেল বারবার দেওয়া খুব কি যৌক্তিক?

উত্তর : আসলে সরিষার তেল দিতে আমরা নিষেধ করি। কারণ, এটি খুব পুরু থাকে। এর জন্য র‍্যাশ হয়। বাচ্চার শরীর ময়লা হয়ে যায়। সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সরিষার তেলের ঝাঁজ বেশি। আমরা সাধারণত বলি, সরিষার তেল না দেওয়াই ভালো। যদি বেবি অয়েল দিই বা অলিভ অয়েল দিই, সেটা দেওয়া যাবে। তবে সেটাও দেড় মাসের পরে।

প্রশ্ন : একটা জিনিস আমরা দেখি, শিশুটির জন্মের পর খুব দ্রুত নানি-দাদিরা সাবান দিয়ে মেজে তার গোসল দিচ্ছে, সেটি আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর : আসলে মায়ের শরীরে একটি সুরক্ষা দেওয়ার ফ্লুইড থাকে, যাকে এমনিওটিক ফ্লুইড বলি। এর পর তার ওপর আরেকটি লেয়ার থাকে, যাকে ভারনিক্স ক্যাসোসো বলে। সেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জন্মের ছয়-সাত দিন পর এটি এমনিতেই চলে যাবে। আস্তে আস্তে শিশু নড়াচড়া করতে শুরু করলে এটি পরিষ্কার হয়ে যায়। কাজেই একে ঘষে পরিষ্কার করলে রোগ-জীবাণুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এটা না করাই ভালো।

প্রশ্ন : মধুর মতো মিষ্টি যাতে হয় তার কণ্ঠস্বর, এ জন্য মধু দিয়ে খাবার শুরু করে। এটি কি খুব বেশি জরুরি?

উত্তর : মধু না দিলেই ভালো।

প্রশ্ন : নবজাতকের নাভির পরিচর্যার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে জোর দেওয়া দরকার?

উত্তর : নাভি শুষ্ক রাখতে হবে। নাভি ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শুকিয়ে পড়ে যাবে। আগে বলা হতো, স্যাভলন বা অ্যান্টিস্যাপটিক এগুলো ব্যবহারের জন্য। তবে এখন বলা হয়, কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো কারণে নাভির চারদিকে লাল হয়ে যায়, নাভি ফুলে যায় তখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আরেকটি স্বাভাবিক বিষয় হলো, অনেক শিশুর নাভি ফোলা থাকে, তখন মায়েরা চিন্তায় পড়ে যান। নাভি কেন ফুলে যাচ্ছে? এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এক বছর বয়স হতে হতে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এ ছাড়া দেখা যায়, তিন থেকে চার দিন বয়সে অনেক শিশুর বিলুরুবিনের মাত্রাটা বেড়ে যায়, জন্ডিস হয়। অনেক মা এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। এটা আসলে খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটা বড়দের জন্ডিসের মতো নয় যে চিন্তা করতে হবে।

প্রশ্ন : বিলুরুবিনটা কত বেশি হলে সেটি চিন্তার বিষয়?

উত্তর : সব শিশুরই জন্ডিস হবে, তবে সেটি কম আর বেশি। দেখা যায়, তিন থেকে চার দিনে জন্ডিস বাড়ে। আবার ছয়-সাত দিনে কমে যায়। সেসব শিশুর এর পরও না কমে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হলে ফটোলাইট দিয়ে চিকিৎসা করি। এর বেশি হলে অনেক সময় রক্ত পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি হয়।

The post নবজাতকের পরিচর্যা কিভাবে করতে হবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ appeared first on Online Khobor.

জেনে নিন মানব দেহের কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলি

$
0
0

জেনে নিন মানব দেহের কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলি

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

জেনে নিন মানব দেহের কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলি । কোলন ক্যান্সার অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যান্সার। এ রোগে প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বিতীয় বিপজ্জনক ক্যান্সার, যার আক্রমণে প্রতি বছর বহু নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়। এ লেখায় থাকছে এ ক্যান্সারে মৃত্যুর কয়েকটি কারণ, যা জানা থাকলে এতে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমতে পারত। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

১. কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ অবজ্ঞা

বহু মানুষই কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো দেখতে পেলেও তা অবজ্ঞা করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মলের সঙ্গে রক্ত নির্গত হওয়া, অস্বাভাবিক ব্যথা, ডায়রিয়া ও হজমের নানা সমস্যা। এছাড়া রয়েছে হঠাৎ করে ওজন কমা, দুর্বলতা, মলত্যাগের চাপ কিন্তু মলত্যাগ করার পরেও চাপ না কমা ইত্যাদি। এসব সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা পরীক্ষা করা জরুরি। আর এক্ষেত্রে দেরি করে ফেললে তা মৃত্যুর কারণ হয়।

 

২. চিকিৎসকের অমনোযোগীতা

অনেক চিকিৎসকই কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো দেখেও তা মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনা করেন না। এক্ষেত্রে চিকিৎসক একটু সতর্ক হয়ে যদি লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখেন তাহলে তা সময়মতো রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করবে।

৩. কিছু জনগোষ্ঠীর বাড়তি মৃত্যুহার

কোলন ক্যান্সার ধনীদের হলেও তা দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। কিন্তু গরীব ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানুষদের মাঝে এ রোগটি নির্ণয় ও সুচিকিৎসার ঘাটতি আছে। এতে তাদের মাঝে এ রোগে মৃত্যুহার বেশি হতে দেখা যায়।

৪. লাল মাংসের প্রভাব

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে পাওয়া লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস যাদের বেশি তাদের মাঝে এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। আর ২০০৫ সালে ইউরোপের এক গবেষণায় জানা যায় লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের এ ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। এ ঝুঁকি এড়াতে স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংস বর্জন করতে হবে।

৫. পেটের প্রদাহ ও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়তি ঝুঁকি

যেসব রোগী আগে থেকেই পেটের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছেন কিংবা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের কোলন ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে। তাই এ ধরনের রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা উচিত।

The post জেনে নিন মানব দেহের কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলি appeared first on Online Khobor.

যে তরুণী ঘুমের মধ্যেই হাঁটলেন ১৫ কিলোমিটার!

$
0
0

যে তরুণী ঘুমের মধ্যেই হাঁটলেন ১৫ কিলোমিটার!

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

যে তরুণী ঘুমের মধ্যেই হাঁটলেন ১৫ কিলোমিটার! ‘স্লিপ ওয়াকিং’ বিষয়টির কথা শুনেছো নিশ্চই? এই সমস্যায় আক্রান্তরা ঘুমের মধ্যেই হাঁটাচলা করেন। বিষয়টি তোমাদের কাছে মজার মনে হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কিন্তু বিষয়টি ভয়ংকর। কারণ এ জন্য সেই ব্যক্তি যে কোনো বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। সম্প্রতি একজন ঘুমের ভেতর হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন ১৫ কিলোমিটার পথ! এমন প্রায় অসম্ভব ঘটনাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর আরভাডা এলাকায়।

সেখানে এক তরুণী ঘুমন্ত অবস্থায় হেঁটেছেন ১৫ কিলোমিটার পথ। তরুণীর নাম টেইলর গ্যামেল। তিনি এই ‘স্লিপ ওয়াকিং’ সমস্যায় ভুগছেন এবং মাঝেমাঝেই ঘুমের মধ্যে হেঁটে অনেক দূর চলে যান। তবে এবারে তাঁর অতিক্রম করা রাস্তার দূরত্ব ছিল সত্যিই অবিশ্বাস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্যামেলকে যখন ১৫ কিলোমিটার দূরের আরেকটি শহরে পাওয়া যায় তখন তাঁর পরনে ছিল ঘুমানোর পোশাক এবং পায়ে কোনো জুতো ছিল না। তার মানে গ্যামেল খালি পায়েই ওই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন। ভোরে দেখা গেল গ্যামেল তাঁর রুমে নেই, খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

অবশেষে জানা যায়, তিনি ওয়েস্ট মিনিস্টার শহরের একটি বাড়ির সোফায় ঘুমিয়ে আছেন, যার দূরত্ব ওই শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার! পরে স্বজনরা সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনে। মেয়েটির বাবা-মা বলেছেন, তিনি মাঝে মাঝেই এ রকম করেন এবং ঘুমের মধ্যে বাসে চড়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।ডেইলি মিররের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে এবং পড়তে পারো ‘স্লিপ ওয়াকিং’ রোগাক্রান্ত এই তরুণীর আরো তথ্য।

The post যে তরুণী ঘুমের মধ্যেই হাঁটলেন ১৫ কিলোমিটার! appeared first on Online Khobor.

Viewing all 168 articles
Browse latest View live