Quantcast
Channel: স্বাস্থ্য – Online Khobor
Viewing all 168 articles
Browse latest View live

যৌনাঙ্গ ফর্সা চকচকে রাখবেন কিভাবে?

$
0
0

যৌনাঙ্গ ফর্সা চকচকে রাখবেন কিভাবে

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

প্রশ্নঃ- আমার শরীরের রং হলো ফর্সা। হাত মুখের চাইতে কম ফর্সা, আর অন্যান্য অংশগুলোও ফর্সা। যা দেখতে ভালই লাগে। এতকিছুর মাঝে শুধু আমার গোপন অঙ্গের রঙ অনেকটা কালো। অন্যান্য অংশের মত যৌনাঙ্গ ফর্সা বা সুন্দর করতে পারবো, যা হয়তো বা আমার মনের মানুষের ভাল লাগবে!

উঃ – পৃথিবীর অধিকাংশ নর-নারীর যৌনাঙ্গ ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলের রঙ শরীরের বাকি অংশের তুলনায় খানিকটা গাঢ় হয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। তাই তোমার যৌনাঙ্গের রঙ মুখের তুলনায় কিছুটা কালো মনে হলেও সেটা নিয়ে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। জেনে রাখ যে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার কোন নিরাপদ পদ্ধতি এখওনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কাজে কাজেই টিভি বা খবরের কাগজে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন দেখে ওই ধরনের কোন ঔষধ বা ক্রীম কিনবেন না। কারণ তাহলে যে শুধু পয়সা নষ্ট হবে তাই নয়, উল্টে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ত্বকের রঙ ফর্সা করার ইচ্ছে ও সেই সংক্রান্ত অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এইভাবে বহু টাকা উপার্জন করে।

ওই ধরনের মোটা হওয়া, ওজন বাড়ানো, গোপনাঙ্গ বৃদ্ধি,যৌনাঙ্গ ফর্সা ইত্যাদি বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান। নিজের যৌনাঙ্গের রঙ নিয়ে একদম লজ্জাবোধ করবেন না। আপনার সত্যিকারের মনের মানুষ কখওনই যৌনাঙ্গ ফর্সা বা কালো রঙ দেখে আপনার সঙ্গ ত্যাগ করবে না। আর যদি সে সত্যিই যৌনাঙ্গ ফর্সা নয় কালো এমন এজন্য কষ্ট পায় তবে তৎক্ষণাৎ সেই মনের মানুষের সঙ্গ আপনার ত্যাগ করা উচিৎ। মনে রাখবেন আপনার মনের মানুষর গায়ের রঙ ফর্সা হলেও তার যৌনাঙ্গ ফর্সা হে এমন নয়। তাই মনে হয় না সে আপনার রঙ নিয়ে কিছু মনে করবে। যৌনাঙ্গ ফর্সা বা সামগ্রিকভাবে ত্বকের রঙ ফর্সা করার ইচ্ছে বস্তুতপক্ষে একটি বিকৃত মানসিকতা যা বিজ্ঞাপনের দৌলতে আমাদের মাথায় গেড়ে বসেছে। ওইসব বিজ্ঞাপন আসলে অসৎ উপায়ে টাকা রোজগারের একটি রাস্তা মাত্র।

বিভিন্ন পর্নোগ্রাফী মুভিতে যৌনাঙ্গ ফর্সা চকচকে নর-নারীর ছবি দেখানো হয়। ওইগুলোর অধিকাংশই কিন্তু মেক-আপের ফসল। কাজেই ওইসব দেখে যৌনাঙ্গ ফর্সা করতে বেশি আগ্রহান্বিত হওয়া একেবারেই অনুচিৎ। যৌনাঙ্গ ও তার নিকটবর্তী অঞ্চল নিয়মিত পরিষ্কার করলে এমনিতেই দেখতে ভাল লাগবে (আপনার ভাল না লাগলেও বিশ্বাস কর আপনার মনের মানুষের অবশ্যই ভাল লাগবে)। তবে ওখানের লোম খুব বেশি কামালে (shaving) কিন্তু ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সব থেকে ভাল হচ্ছে ট্রিমিং করা। যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করার জন্য সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। শুধু জল দিয়ে, বা হালকা গরম জল দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করাই সব থেকে ভাল উপায়।

প্রয়োজন হলে জলে অল্প লবন মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যদি খুবই ইচ্ছে করে তবে মাইল্ড সাবান যার pH মান 7 এর কাছাকাছি, ব্যবহার করতে পার। লিঙ্গের অগ্রভাগ (লিঙ্গমুন্ড), মূত্রছিদ্র, যোনি পথ, যোনিদ্বার এবং পায়ু – এইসব অঞ্চলের মিউকাস পর্দা সাবান ব্যবহারের ফলে ড্রাই হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এমন হতে থাকলে নানান সমস্যা যেমন চুলকানি, যন্ত্রনা, জীবাণু সংক্রমণ, মলদ্বারের ত্বক ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে। উপরন্তু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের ভারসাম্য সাবান ব্যবহারের ফলে বিঘ্নিত হয়, যার থেকে যৌনাঙ্গে ব্যালানাইটিস, ক্যান্ডিডায়াসিস, ভ্যাজিনাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্যেই উপরে বর্ণিত অঞ্চলে সাবান ব্যবহার না করতে বলা হয়।

তবে যৌনাঙ্গের আশেপাশের অঞ্চলে সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন সাবান জল লিঙ্গের অগ্রভাগ, যোনিদ্বার, যোনি বা পায়ুতে না পৌঁছয়। আর সাবান কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেবে সেটা যেন মাইল্ড সাবান (pH মান 7) হয়। আর হ্যাঁ, ওই অঞ্চলে পারফিউম, ডিওড্র্যান্ট বা ট্যালকম পাউডার একেবারেই ব্যবহার করবে না। ফর্সা করার জন্য ত্বক কখওনই ব্লীচ করবে না। হার্বাল ক্রিম ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাচার থেকেও সাবধান।

যদি হঠাৎ করে যৌনাঙ্গ ফর্সা বা রঙ পরিবর্তিত হয় তবে সেটা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত যদি যৌনাঙ্গ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়, বা ওখানে চুলকানি বা এলার্জি হয়, ব্যাথা হয়, জ্বালা করে, পুজ বের হয় ইত্যাদি, তবে অতি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। ভালো থাক ও নিজের যৌনাঙ্গকে ভালবাস। ওই যৌনাঙ্গ তোমাকে অনেক সুখ দিতে পারে!

The post যৌনাঙ্গ ফর্সা চকচকে রাখবেন কিভাবে? appeared first on Online Khobor.


মুখের ব্রণ বলে দিবে আপনি কোন অসুখে ভূগছেন!

$
0
0

মুখের ব্রণ বলে দিবে আপনি কোন অসুখে ভূগছেন!

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

মুখ দেখে যায় চেনা। মুখ শরীরের ভাষা প্রকাশ করে। এক্সপার্টরা আপনার সম্পর্কে মুখ দেখে গড়গড় করে অনেক কথাই বলে যেতে পারেন। শুধু ‘ব্যক্তি আপনি’ নন, আপনার শরীরের কোনও যন্ত্র বিগড়েছে কি না, বা, আপনার শরীর ভালো যাচ্ছে কি না, তা-ও নাকি বলে দেওয়া যায় শুধু মুখ দেখে।

চিনারা মনে করেন, আপনার মুখের বিশেষ একটা জায়গা (হতে পারে তা নাক, চোখের পাতা, কপাল), শরীরের অভ্যন্তরের নির্দিষ্ট কোনও অঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। এবং, সেখানে ব্রণর আধিক্য দেখেই বোঝা যায়, আপনার শরীরে কী সমস্যা আছে। মুখে ব্রণ, শুধু বয়ঃসন্ধিতেই হয় না। বা, হরমোনই একমাত্র কারণ নয় বলেই মনে করেন চিনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ধরুন, আপনার শুধু কপালেই বেশি বেশি ব্রণ হচ্ছে। ধরে নিতে হবে, আপনার ক্ষুদ্রান্তে বা গলব্লাডারে কোনও সমস্যা হচ্ছে। যদি ভ্রু যুগলের মাঝে ব্রণ বেরোয় বুঝতে হবে লিভারের সমস্যা। আবার যদি দেখেন, ভ্রু-র আর্চ বরাবর ব্রণ হচ্ছে, ধরে নিতে হবে কিডনির কোনও সমস্যা হচ্ছে।

নাকে ঘন ঘন ব্রণ বেরোলে, সমস্যা হার্টের। গালের ওপর অংশে, মানে নাকের ঠিক নীচেই খালি ব্রণ বেরোলে, ধরে নিতে হবে, ফুসফুসে কিছু হয়েছে। গালের নীচের দিকে, থুতনিতে ব্রণ হলে বুঝতে হবে, নির্ঘাত ফুসফুস বা কিডনি, কোনও একটা বিগড়েছে। চোয়ালে এবং ঘাড়ে অতিরিক্ত ব্রণ দেখা দিলে, নিশ্চিত ভাবেই হারমোনের গন্ডগোল। চিবুকে ব্রণ বেরোলে, পাকস্থলী পরীক্ষা করাতে হবে।

নিম্নোক্ত ছবিটি খুঁটিয়ে দেখলেই বুঝে যাবেন, মুখের কোন অংশে ব্রণ হলে, কীসের সমস্যা হতে পারে।

মুখের ব্রণ বলে দিবে আপনি কোন অসুখে ভূগছেন!

The post মুখের ব্রণ বলে দিবে আপনি কোন অসুখে ভূগছেন! appeared first on Online Khobor.

হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক, ১ জনের মৃত্যু

$
0
0

হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক, ১ জনের মৃত্যু

অনলাইন খবর ডটকমঃ

বন্যার পানি নামতে শুরু করার সাথে সাথে গাইবান্ধায় ডায়ারিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও শতাধিক। ইতিমধ্যে নছিরন বেগম (৬৭) নামে এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শহর এবং শহরতলীর ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

নির্ধারিত ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতাল ভবনে প্রবেশের প্রধান ফটক বন্ধ করে করিডোরসহ বিভিন্নস্থানে রোগীদের গাদাগাদি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল শুক্রবার ডায়রিয়া আক্রান্ত নছিরন বেগম (৬৭) নামে এক বৃদ্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের চকমামরোজপুর গ্রামে। জেলার অন্য হাসপাতালেও ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওইসব হাসপাতালে শতাধিক রোগী ভর্তি এবং চিকিৎসা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পরিস্থিতিই ভয়াবহ। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৫ জন।

এছাড়া হাসপাতালে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আরও শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালের সামনে ব্র্যাকের সহযোগিতায় অস্থায়ীভাবে ত্রিপল টানিয়ে ২০ বেডের একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। অনেক রোগী হাসপাতালে ঢুকতে না পেরে হাসপাতাল চত্বরেই রাস্তার ওপরই পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে পড়েছে এমন দৃশ্যও দেখা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছে। আরএমও ডা. শাহীনকে পাওয়া না গেলেও সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সেখানে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে দেখা গেছে। জেলা রোভার স্কাউটসের সদস্যরা চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করছে।

এদিকে ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যধি রোগ নির্ণয় বিভাগের (আইইডিসিআর) ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আল মামুন মাহবুব আলমের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল গতকাল শুক্রবার বিকালে গাইবান্ধায় এসে পৌঁছেছেন। তারা এ পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করবেন বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে। এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ হাসপাতাল চত্বরে বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ এবং অস্থায়ীভাবে কয়েকটি ল্যাট্রিন স্থাপন করেছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন শহরে মাইকিং করে ফুটানো বা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করা পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

The post হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক, ১ জনের মৃত্যু appeared first on Online Khobor.

পুরুষের অণ্ডকোষের প্রদাহ – কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

$
0
0

পুরুষের অণ্ডকোষের প্রদাহ – কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

অনলাইন খবর ডটকমঃ

অরকাইটিসকে সাধারণ বাংলায় অণ্ডকোষের প্রদাহও বলা হয়ে থাকে। এটি হলো একটি বা দু’টি অণ্ডকোষের প্রদাহ, যা সচরাচর সংক্রমণের কারণে হয়। অনেকে এটাকে এপিডিডাইমো-অরকাইটিস অথবা টেস্টিস ইনফেকশন বলে থাকেন। এটা হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।

পুরুষের অণ্ডকোষের প্রদাহ – কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো :- অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে। এটা সাধারণত এপিডিডাইমিসের প্রদাহের ফলস্বরূপ হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এটা একটি নল, যা ভাস ডিফারেন্স (শুক্রবাহী নালি) ও অণ্ডকোষকে সংযুক্ত করে।

অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসজনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস। মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের। ১০ বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে। অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে। পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায়।

২-২০ শতাংশ পুরুষের অরকাইটিস হয় বিরল রোগ ব্রুসেলোসিসের কারণে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে। সাধারণত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়।

যৌনবাহিত কারণ ছাড়া অন্য যেসব কারণে অরকাইটিস হতে পারে তা হলো :-

  • মাম্পস রোগের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা
  • বয়স ৪৫ বছরের বেশি
  • বারবার মূত্রপথে সংক্রমণ
  • মূত্রপথের জন্মগত সমস্যা
  • জনন-মূত্রপথে অস্ত্রোপচার
  • দীর্ঘদিন ফলিস ক্যাথেটারের ব্যবহার

যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিসের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে :-

  • একাধিক যৌনসঙ্গিনী
  • অস্বাভাবিক যৌন আচরণ
  • যৌনসঙ্গিনীর আগে কোনো যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস
  • গনরিয়া অথবা অন্য যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস

উল্লেখ্য, এ রোগে প্রথমে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয়। আস্তে আস্তে এ জীবাণু প্রোস্টেটে সংক্রমিত হয় এবং প্রোস্টেট থেকে এ রোগের জীবাণু এপিডিডাইমিসকে আক্রমণ করে।

পুরুষের অণ্ডকোষের প্রদাহ – কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ :-

  • অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া ও ভারী বোধ হওয়া
  • অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
  • আক্রান্ত পাশের কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া
  • জ্বর হওয়া
  • কুঁচকিতে ব্যথা করা
  • লিঙ্গ পথে পুঁজ নির্গত হওয়া
  • প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা
  • যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা বীর্যপাতের সময় ব্যথা করা
  • বীর্যে রক্ত যাওয়া
  • পায়খানা করার সময় কিংবা কোঁত দেয়ার সময় অণ্ডকোষের ব্যথা বেড়ে যাওয়া

পরীক্ষা-নিরীক্ষা :-

  • প্রস্রাবের রুটিন ও কালচার পরীক্ষা
  • ক্লামাইডিয়া ও গনোরিয়ার পরীক্ষা (ইউরেথ্রাল স্মেয়ার)
  • রক্তের রুটিন পরীক্ষা
  • ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড
  • টেস্টিকুলার স্ক্যান (নিউক্লিয়ার মেডিসিন স্ক্যান)।

রোগের জটিলতা :- অরকাইটিসের কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং একটি বা দু’টি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে। অরকাইটিসের কারণে আরো যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে সেসবের মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া। অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয়। যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

চিকিৎসা :- অ্যালোপ্যাথরা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমনে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গনরিয়া বা ক্লামাইডিয়ার ক্ষেত্রে যৌনসঙ্গিনীকেও চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ও সফল চিকিত্সা। তাই অণ্ডকোষের প্রদাহ নিবারণে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন। মনে রাখতে হবে, সময়মতো চিকিৎসা না করলে অণ্ডকোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়াজনিত অরকাইটিসের সঠিক চিকিৎসা করা হলে অণ্ডকোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

The post পুরুষের অণ্ডকোষের প্রদাহ – কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা appeared first on Online Khobor.

আপনি কি আসলেই ধ্বজভঙ্গে রোগের আক্রান্ত ? নাকি মনের ভূল !

$
0
0

আপনি কি আসলেই ধ্বজভঙ্গে রোগের আক্রান্ত নাকি মনের ভূল !

অনলাইন খবর ডটকমঃ

অনেকেরই Impotence বা ধ্বজভঙ্গ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকার দরুন নিজেকে মনে মনে এই রোগে আক্রান্ত বলে মনে করেন। তার একটি বিশেষ কারণ হলো – আমাদের দেশের রাস্তা ঘাটে হারবাল, কবিরাজি আর ভেষজ ঔষধের পসরা সাজিয়ে বসা তথাকথিত চিকিত্সকদের বিভ্রান্তিকর লেকচার। যাই হোক এবার মূল বিষয়ে আসা যাক।

পুরুষাঙ্গে উত্তেজনার অভাব, উত্তেজনাহীনতা বা সল্পতা হেতু রতি শক্তির অভাবকেই ধ্বজভঙ্গ (Impotence) বলা হয়ে থাকে। ইহাতে পুরুষদের রতি ক্রিয়ার আংশিক বা সম্পূর্ণ সামর্থহীনতার ভাব প্রকাশ পায় এবং এ সমস্যায় পুরুষের পৌরষত্ব ভাব ধীরে দিরে লোপ পায়।

ধ্বজভঙ্গের কারণ সমূহ :- হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সঙ্গম, আঘাত প্রাপ্তি, বহুমূত্র, সিফিলিস, গনোরিয়া, পুরাতন অন্ডকোষ প্রদাহ, দীর্ঘকাল যাবৎ অজীর্ণ রোগ, স্নায়বিক রোগ ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। ইহাতে সন্তান উত্পাদন শক্তি লোপ পায়। অনেক চিকিত্সা বিজ্ঞানী ইহাকে রোগ বলে অভিহিত করতে চান না। ইহা যে কোন কঠিন জাতীয় পুরাতন রোগের লক্ষণ বিশেষ বলে তারা মনে করেন। পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌনতার স্থায়ীত্ব কম বেশি হয় কারণ তার দেহের হরমোনের ক্রিয়ার কম বেশি অবস্থা ঘটে। যৌন উত্তেজনা ও যৌন স্থায়ীত্ব কম হাওয়াই ধ্বজভঙ্গের লক্ষণ নয়।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তার যৌন ক্ষমতা ঠিকই আছে কিন্তু মানসিক কারণে বা হীনমন্যতার জন্য ধ্বজভঙ্গ ভাব প্রকাশ পায়। অনেকেই যৌবন কালে কম বেশি বীর্য ক্ষয় করে থাকে এবং নানা প্রকার কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করে বীর্য ক্ষয় করে তাদের মনে তাদের মনে অনেক সময় একটা ভুল ধারণার সৃষ্টি হয় যে তারা ধ্বজভঙ্গে আক্রান্ত, তার যৌন ক্ষমতা বোধ কম এমন একটা দুর্বলতা বিশেষ করে মানসিক দুর্বলতা তার মনে সৃষ্টি হয়। আবার কোন কোন সময় যৌন ক্ষমতা সামান্য কম হলে সে মনে করে তার যৌন ক্ষমতা নেই – ইহাও একটি ভুল ধারণা ।

অনেক সময় পুরুষের পেনিস সামান্য ছোট বড় হতে পারে, ইহা প্রকৃতির নিয়মে অথবা বংশগত ধারায়। কিন্তু ছোট বলে অনেক পুরুষ মনে করে যে সে যৌন কার্যে অক্ষম এবং তার ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়েছে – এটাও ভুল ধারণা । বেশি পরিশ্রম, পুষ্টির অভাব, দেহে উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন প্রভৃতির অভাব হলেও এটি হতে পারে।

প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ রোগ এবং জন্মগত ভাবে ধ্বজভঙ্গ রোগ এই দুই শ্রেণীতে ইহাকে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। মানসিক বা দৈহিক কারণে যদি এই রোগ হয় তবে তাকে প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ বলা যায়। আবার যদি জন্মগত ভাবে হয় তখন তাকে ধ্বজভঙ্গ রোগ বলা যায়। মানসিক বা দৈহিক কারণে এই রোগ হলে তার ট্রিটমেন্ট করা যায় কিন্তু জন্মগত ভাবে হলে তার চিকিত্সা করে আরোগ্য করাটা বেশ কঠিন। এবার আসুন প্রকৃত এবং জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের ক্ষেত্রে কি কি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা দেখি :-

জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:-

  • যৌবন আগমনের সঙ্গে পুরুষোচিত গুনাবলীগুলি যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। মানুসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। সর্বদাই হীনমন্যতা ও দুর্বলতার ভাব প্রকাশ পায়।
  • যৌবনের গুনাবলী ঠিক যে সময় যৌবন ভাব প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক সেটা দেখা যায় না এবং যৌনতার ভাব যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। দেহের নানা হরমোনের অভাবে এবং স্নায়ুবিক অক্ষমতার কারণ হিসাবে দেখা দেয়।
  • যৌবন আগমন হলেও যৌনইন্দ্রিয়ের কোনো উত্তেজনা থাকে না। পেনিস ঠিক মত শক্ত হয় না। কখনো কখনো অতি সামান্য দু’এক ফোটা বীর্যপাত হয়।
  • সর্বদাই এদের চরিত্রে নারী সুলভ ভাবভঙ্গি প্রকাশ পায়। অদ্ভুদ ধরনের হাবভাব প্রকাশ পায় যা সাধারনত কোন পুরুষের মধ্যে থাকে না।
  • এদের যৌন উত্তেজনা, পেনিসের উত্থান, বীর্যপাত প্রভৃতি কিছুই দেখা যায় না। আচার আচরণে বোকামি প্রকাশ পায়, মানুষের কাছে হস্যম্পদ হয়ে থাকে এবং অনেক সময় মানুষ তাদের নিয়ে উপহাস ও কৌতক করে থাকে।

মানসিক বা দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:-

  • অন্যের যৌন ক্ষমতা বেশি এবং নিজের কম এই ভেবে অনেক সময় মানসিক দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • যতটা দৈহিক বীর্য ক্ষয় হয় ততটা খাদ্য ঠিক মত পায় না। উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন প্রভৃতির অভাব, পেটের রোগ এবং অন্য কোন রোগে ভোগা।
  • হরমোন ক্রিয়ার কম বেশির জন্য, দীর্ঘকাল যাবৎ বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন অথবা জন্মগত বা পৈত্রিক সূত্রে অনেকের পেনিস একটু ছোট হলে এর জন্য হিনমন্যতায় ভোগে।
  • অনেক সময় আদৌ রোগ নয়, শুধু মাত্র মানসিক কারণেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তারা প্রকৃতপক্ষে যৌনতায় সুস্থ কিন্তু কৃত্রিমভাবে বীর্যক্ষয় করার কারণে ধ্বজভঙ্গের সন্দেহ করে এবং এই সন্দেহের জন্য নিজেকে ধ্বজভঙ্গ রোগী মনে করে থাকে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে যৌন হরমোন বা অন্য কোন গ্রন্থির হরমোন সমান্য কিছু কম নিঃসরণের জন্য যৌন উত্তেজনা কিছুটা কম হতে পারে কিন্তু যথাযথ ট্রিটমেন্ট করলে হরমোনের এই গোলযোগ ঠিক হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে মানসিক দুর্বলতা অনেক সময় প্রকাশ পেয়ে থাকে।

রোগ নির্ণয় :-
স্ত্রী সহবাসের সময় পেনিসের উত্থান হয় না অথবা সামান্য মাত্র উত্থান হয়ে আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত বীর্যপাত অর্থাৎ বীর্য ধারণের সময় যতটা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম। পেনিসে উত্তেজনা দেখা যায় না আর হলেও অনেক কম। বীর্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তরল হয়। বীর্যপাতের পর অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বীর্য এতটা পাতলা যে দেখতে জলের মত।

জটিল উপসর্গ :-

  • যৌন আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
  • দাম্পত্য সুখ শান্তি বিঘ্নিত হয়।
  • সাংসারিক শান্তি নস্ট হয়।
  • জৈব চাহিদা মেটাতে স্ত্রী পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
  • স্ত্রী সর্বদাই মানসিক অশান্তিতে ভোগে এবং স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তির অভাব হয়।
  • পুরুষের পুরুষোচিত গুনাবলীর বিকাশ হয় না।
  • কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুক্র কীট ঠিকমত না থাকার দরুন সন্তান সৃষ্টি বিঘ্নিত হয়।
  • মনে মনে কামভাব থাকলেও যৌন সুখ না হবার দরুন মানসিক অবসাদ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এই জাতীয় হতাশায় ভুগলে মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের আর্টিকেলের টাইটেলেই বলেছিলাম – আপনি কি আসলেই Impotence বা ধ্বজভঙ্গে আক্রান্ত ? নাকি মনের ভূল! আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে পুরুপুরি ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। পুরু লেখাটি পড়ার পর যদি আপনার মনে হয়ে থাকে এটাতে আপনার মানসিক দুর্বলতা ছিল তাহলে আজই, ঠিক এই মুহুর্তেই মন থেকে সব মুছে ফেলুন আর মনে করুন আপনার এ সংক্রান্ত কোন প্রকার সমস্যাই নেই, আপনি একজন পরিপুর্ণ সুস্থ সুপুরুষ ।

আবার যদি মনে হয় আপনার কিছুটা সমস্যা রয়েছে তাহলে দেরী না করে আজই ভাল এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করে চিকিত্সা নিন। কারণ পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত আর কোনো মেডিকেল সাইন্সই যৌন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি চিরতরে নির্মূলে ততটা সাফল্য দেখাতে পারেনি। শুধু তাই নয়, অন্যান্য চিকিত্সা পদ্ধতি যেখানে তাদের প্রয়োগকৃত ঔষধ সমূহের জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত সেখানে একমাত্র হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানই কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই সকল সমস্যা সমূহকে একেবারে রুট লেভেল থেকে নির্মূল করতে সক্ষম হচ্ছে। Impotence বা ধ্বজভঙ্গ সৃষ্টির পেছনে শারীরিক বা মানসিক যে কারণই থাকুক না কেন কিছুদিন প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে তা একেবারে মূল থেকে দূর হয়ে যায় এবং তার জন্য সব সময় ঔষধ খেয়ে যেতে হয় না।

The post আপনি কি আসলেই ধ্বজভঙ্গে রোগের আক্রান্ত ? নাকি মনের ভূল ! appeared first on Online Khobor.

লাল রঙের ফল-সবজির যেসব গুণাগুণ রয়েছে

$
0
0

লাল রঙের ফল-সবজির যেসব গুণাগুণ রয়েছে

অনলাইন খবর ডটকমঃ

লাল শুধু ভালোবাসার রঙ নয়৷ লাল রঙের ফল এবং সবজিতে যেসব উপাদান রয়েছে, তা শরীর এবং মনকে সুস্থ তো রাখেই, ক্যানসার বা হৃদরোগের মতো অসুখেরও ঝুঁকিও কমায়৷

লাল টকটকে মরিচ
লাল মরিচ ছাড়া রান্নার কথা অনেকেই ভাবতেই পারে না। ছোট্ট লাল রঙের ঝাঁঝালো মরিচের রয়েছে নানা গুণ৷ মরিচ শক্তিদায়ক৷ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, যা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, রক্ত চলাচলকে সচল রাখে আর হজম শক্তি বাড়ায়৷ মরিচের মধ্যে কিছুটা রক্ত-তরলীকরণ প্রভাবও রয়েছে৷ তবে যারা ঝাল খেয়ে অভ্যস্ত নন বা যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্য ঝাল মরিচ সমস্যা হতে পারে বৈকি!

মন ভালো করা ফল স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি ফল শুধু দেখতেই শুধু লোভনীয় নয়, যিনি খান, তাকেও রাখে আনন্দিত, করে স্লিম ও আকর্ষণীয়৷স্ট্রবেরি খাওয়ায় রুচি বাড়ায়, মনোযোগ ঠিক রাখে৷ এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সেলগুলোকে বাত রোগ থেকে দূরে রাখে, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়৷ এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম চোখ, হাড়, দাঁতের জন্য ভালো৷ শরীরের ওজন কমানোর জন্য স্ট্রবেরি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জার্মান পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হান্স ডিটার শাউপ৷

সহজলভ্য ফল আপেল
সব জায়গায় এবং সারা বছর পাওয়া যায় এই ফল৷ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, আপেল কোলেস্টোরল কমাতে এবং ক্যানসার রোধে সহায়তা করে৷ আপেলে রয়েছে মিনারেল, আয়রন এবং প্রচুর ভিটামিন, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন৷ যারা নিয়মিত আপেল খান, তাদের শারীরিক সমস্যাও হয় কম৷ আপেলে থাকা অ্যাসিড নানা ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে৷ এছাড়া আপেল গলা ব্যথা বা কাশির ওষুধ হিসেবেও কাজ করে৷

লাল বীট
এতে রয়েছে প্রচুর শর্করা ও মূল্যবান অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’৷ এছাড়াও বীটে রয়েছে পটাশিয়াম, তামা, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, আয়োডিন ও অনেক কিছু৷ এতে অনেক বেশি আয়রন থাকায়, তা রক্ত তৈরিও রক্ত তরল রাখতে ভূমিকা রাখে৷ লাল বীট রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে৷ তাছাড়াও লাল বীটের পাতা, অর্থাৎ বীট পালং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়৷ অবশ্য শুধুমাত্র যদি তা কাঁচা খাওয়া হয়৷

লাল ক্যাপসিকাম
এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি৷ লাল ক্যাপসিকাম রান্না না করে কাঁচা অবস্থায় খেলে তা হৃদপিণ্ডের কর্মশক্তি ও ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে৷ ক্যাপসিকাম রোগ সংক্রমণ কমায় বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ শুধু তাই নয়, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে ক্যাপসিকাম৷

চেরি ফল
যথেষ্ট মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ চেরি ফলের রস ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে – এই তথ্যটি জানা গেছে লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা ফলাফল থেকে৷ তাজা কচকচে চেরি ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদুও৷

লাল মুলা
এই সবজির মধ্যে আছে যথেষ্ট পুষ্টি ও ওষুধি গুণ৷ মুলা কাঁচা সালাদ হিসেবে বা রান্না করেও খাওয়া যায়৷

টমেটো
টমেটোতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও পটাশিয়াম এবং খুব কম ক্যালোরি৷ লাল রঙের সবজি টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন নামে যে উপাদানটি রয়েছে, তা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে৷ টমেটো উচ্চ রক্তচাপ কমায়, নার্ভকে শান্ত রাখে এবং ভালো ঘুম হয়৷ টমেটো মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে৷ টমেটোতে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়৷ এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো৷

লিচু
রসালো লিচু শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি পুষ্টিকর এবং লিচুতে রয়েছে নানা গুণ৷ ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, শর্করা ইত্যাদি আছে লিচুতে৷ লিচুতে থাকা এ সব উপাদান শরীরে শক্তি যোগায়, শরীরে পানির সমতা রক্ষায় সাহায্য করে৷ এছাড়া ক্যানসার, হৃদরোগ ও ডায়বেসটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে লিচু৷ পাশাপাশি লিচু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে৷

বেদানা
বেদানার বাইরেটা যেমন সুন্দর, ভেতরটাও তেমনই সুন্দর ও লোভনীয়৷ নানা গুণের বেদানায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রেও বেদানা খুব উপকারী৷

The post লাল রঙের ফল-সবজির যেসব গুণাগুণ রয়েছে appeared first on Online Khobor.

ওয়াইফাই ব্যবহারে হতে পারে মাথাব্যথা ও অ্যালার্জি

$
0
0

অতিরিক্ত ওয়াইফাই ব্যবহারে হতে পারে মাথাব্যথা ও অ্যালার্জি

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

ওয়্যারলেস অ্যালার্জি সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তা ব্যস্ত নাগরিক জীবনের একটি বিড়ম্বনা হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মূলত ওয়াইফাই ইন্টারনেট, তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্রপাতি ও আধুনিক বিভিন্ন গ্যাজেটের কারণে এ অ্যালার্জি হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক হাইপারসেনসিটিভিটি (ইএইচএস) বা ওয়্যারলেস অ্যালার্জি থেকে মাথাব্যথা ও প্রচণ্ড অবসাদের মতো সমস্যা হয়। তবে বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এ প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হয়। অতিরিক্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের মাঝে থাকলে এ ধরনের অ্যালার্জি বেশি হয়।
ওয়াইফাই সিগন্যাল ছাড়াও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত সিগন্যাল, ওয়াইফাই সংযুক্ত যন্ত্রপাতি যেমন, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ও অন্য গ্যাজেটের সমাহার বেশি হলে এ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবা বাড়ে।
কিছুদিন আগে ফরাসী একটি আদালতে ৩৯ বছর বয়সী এক নারী অভিযোগ করেন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে তার মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এরপর তাকে ওয়াইফাই ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন থেকে দূরে একটি এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এ অ্যালার্জির বিষয়টিকে মারাত্মক কোনো সমস্যা বলে মনে করেন না। যদিও এর অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কোনো নির্ধারিত মাত্রা এখনো নিরূপিত হয়নি। তবে বিষয়টির অস্তিত্ব যে রয়েছে, তা স্বীকার করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত হুমকি সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

The post ওয়াইফাই ব্যবহারে হতে পারে মাথাব্যথা ও অ্যালার্জি appeared first on Online Khobor.

মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল ও প্রতিকার

$
0
0

অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল ও প্রতিকার

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারে অনেক রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত ৪ ঘণ্টা বা তার বেশি কম্পিউটারে সময় কাটালে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল কী কী ? প্রতিকারের উপায়ই বা কী? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

সমস্যা ১

পেশির সমস্যা। যাঁরা বেশি কম্পিউটার ব্যাবহার করেন তাঁরা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন। বসার অবস্থান যদি ঠিক না হয় তা হলে পিঠের ব্যথা, কোমরে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

প্রতিকার

  • চেয়ার এবং কম্পিউটার টেবল এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে মনিটরের স্ক্রিন আপনার চোখের সমানে বা একটু নিচুতে থাকে।
  • মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হবে।
  • পা দু’টোকেও সোজা ছড়িয়ে রাখতে হবে। ফলে পেশিতে টান ধরবে না।
  • কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে হাঁটতে হবে।

সমস্যা ২

ঘাড়, আঙুল এবং কাঁধে ব্যথা। অনেক ক্ষণ মাউস ধরে কাজ করলে আঙুলে রক্তসঞ্চালন কম হয়। ফলে আঙুলে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। কাঁধের পেশিতেও ব্যথা হতে পারে। কব্জি ও আঙুলে কার্পাল টানেল সিনড্রোম দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

প্রতিকার

  • মাউসটাকে কি-বোর্ডের পাশে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো হাতটা নড়াচড়া করতে পারে। শুধু কব্জি নাড়ালে হবে না। টাইপ করার সময় কব্জিকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় না রেখে কাজ করাই ভাল।
  • যখন টাইপ করবেন না, হাতটাকে স্ট্রেচ করুন।

সমস্যা ৩

কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল এর মধ্যে চোখের সমস্যা অন্যতম।

প্রতিকার

  • এক দৃষ্টে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখ দু’টো মাঝে মাঝে খোলা-বন্ধ করুন। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে কাজ করুন। যাতে চোখের উপর বেশি চাপ না পড়ে।
  • স্ক্রিন থেকে চোখের একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। দেখে নিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপায় ।

সমস্যা ৪

মাথা যন্ত্রণা। মাথা ও ঘাড়ের পেশি ঠিক মতো সঞ্চালন না হলে মাথা যন্ত্রণা করতে পারে। প্রতি দিন অনেক ক্ষণ ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে চোখের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথাও হতে পারে।

প্রতিকার

  • নিয়মিত চোখের চেকআপ করান।
  • ঘাড় গুঁজে কাজ না করাই ভাল।
  • ঘাড় সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।

সমস্যা ৫

স্থূলতা কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল। কারন এতে শরীর নড়াচড়া না করলে ফ্যাট জমতে শুরু করবে।

প্রতিকার

  • বিশেষ করে বাচ্চাদের একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে গেম খেলার জন্য। তাদের আউটডোর গেমে উত্সাহিত করতে হবে বাবা-মাকে।
  • বড়রা যাঁরা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা কম্পিউটারে সময় কাটান কাজে শেষে বাড়ি ফিরে শরীরকে বিশ্রাম দিন।

সমস্যা ৬

অতিরিক্ত কাজের চাপ। প্রযুক্তি আমাদের শরীর ও মনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারীদের স্বাস্থ্য ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রতিকার

  • চাপ যাতে আপনাকে গ্রাস করতে না পারে তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে হবে না।

The post মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল ও প্রতিকার appeared first on Online Khobor.


নিয়মিত ৭টি ব্যায়ামের অভ্যাস করুন উচ্চতা বাড়াতে

$
0
0

নিয়মিত ৭টি ব্যায়ামের অভ্যাস করুন উচ্চতা বাড়াতে

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

চাইলেই কি আর লম্বা হওয়া যায়। তার জন্য করতে হয় কত সাধনা। না খেয়ে বসে থাকতে হবে বা নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ। কি ভয় পেয়ে গেলেন শুরুতেই। না এমন কিছুই করতে হবেনা আপনাকে। উচ্চতা বাড়াতে শুধু দরকার নিম্নোক্ত সাতটি ব্যায়াম অভ্যাস করার। সঠিক নিয়মে পালন করতে পারলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে অনেকাংশেই। তবে ঠিক ভাবে করতে না পারলে ফল হবে না কোনভাবেই।

এই ব্যায়ামগুল করার আগে হাল্কা একটু পরিশ্রম করে নিতে ভুলবেন না যেন। এতে ব্যায়াম করতে গিয়ে হঠাত ব্যাথা পেয়ে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা কমে আসবে। এবার আসুন জেনে নেই এই ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে-

১. প্রথম ব্যায়ামঃ
দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়ান। এভাবে দাড়িয়ে নিজেকে দেয়ালের সমান্তরালে সোজা রাখবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে চেষ্টা করতে হবে, আপনার শরীরের পেছন দিকটির পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত যেন দেয়াল স্পর্শ করতে পারে। এভাবে দেয়াল স্পর্শ করে সোজা হয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন। এভারে ৮ থেকে ১০ বার করুন ব্যায়ামটি।
২. দ্বিতীয় ব্যায়ামঃ
প্রথম ব্যায়াম শেষ হবার পরে এই পর্যায়ে রিং বা বারের সাহায্যে হাতের ভরে ঝুলে পড়ুন। শরীররের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটিকে দুলতে দিন পেন্ডুলামের মত। অনুভব করুন মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিজের উপরে। এভাবে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ঝুলে থেকে ছেড়ে দিন নিজেকে। আবার একই প্রক্রিয়ায় করুন এই ব্যায়াম। এক সেটে ৮ থেকে ১০ বার করতে পারেন।

৩. তৃতীয় ব্যায়ামঃ
এবার আবার রিং ধরুন। তবে এবার ঝুলে থাকতে হবেনা। বরং রিং ধরে নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে একবার উপরে উঠতে পারলে তারপর নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে প্রায় ৩ মিনিট পর্যন্ত ঝুলে থাকুন।এভাবে এই ব্যায়ামটি ৬ সেটে শেষ করুন। মনে রাখবেন শুরুতেই ৩ মিনিট ধরে ঝুলবেন না। আপনার শরীর যে পরিমাণ নিতে পারবে সে পরিমাণ করবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৩ মিনিট করুন।

৪. চতুর্থ ব্যায়ামঃ
এই পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র রিং বা বার ধরে ৩ মিনিট করে ঝুলে থাকুন। এভাবে ৬ বার করুন।

৫. পঞ্চম ব্যায়ামঃ
এই পর্যায়ে এসে ব্যায়ামটি একটু কঠিন মনে হবে। এবার আপনাকে রিঙে বা বারে উল্টা হয়ে পায়ের হাঁটুর ভাজের সাহায্যে ঝুলতে হবে। উল্টা হয়ে ঝুলে নিজের শরীর ছেড়ে দিন। হাত দুটিকে ঝুলতে দিন। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন।গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে কারো সাহায্য নিন। ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে জোর খাটাবেন না নিজের প্রতি। ধীরে ধীরে শেখার চেষ্টা করুন। তারপরও আয়ত্তে আনতে না পারলে এই ব্যায়ামটির সব থেকে কাছাকাছি যতটুকু করতে পারবেন তাই করবেন। তাতে কিছুটা হলেও সাহায্য হতে পারে।

৬. ষষ্ঠ ব্যায়ামঃ
আপনি যদি এই পর্যায়ে এসে পড়েন তবে আপনার জন্য সুখবর হল, সব থেকে কঠিন পর্যায় পার করে এসেছেন আপনি। এরপরে আর রিং বা বারে ঝুলতে হবেনা আপনাকে। এবার যা করতে হবে তা হল আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার বাম দিকে দীর্ঘ একটি লাফ দিন প্রথমে। সেই সাথে চেষ্টা করুন ডান পায়ের ভরে অবতরন করতে। অর্থাৎ লাফ দিয়ে নামার সময় ডান পা আগে মাটি স্পর্শ করবে। লাফ দেয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ সম্ভব তত দীর্ঘ লাফ দিতে।

৭. সপ্তম ব্যায়ামঃ
এই পর্যায়ে আমরা আমাদের ব্যায়াম রুটিনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি। এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেটের ভরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আপনার শরীর এবং পা থাকবে সোজা এবং টানটান।
হাত দুটোকে তুলে দিন আপনার পেছন দিকে এবং টানটান অবস্থায় রাখুন। এবার এই অবস্থায় থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁকা করে তুলে ধতে চেষ্টা করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড় থাকবে সামনের দিকে সোজা অবস্থায়। এভাবে ৮ থেকে ১০ বার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেনঃ
এভাবে সপ্তাহে ৩ দিন করে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এগুলো মূলত স্ট্রেচিং ব্যায়াম যা আপনার শরীরের আড়ষ্টতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। শরীরের আড়ষ্টভাব কেটে গেলে উচ্চতা বাড়তে শুরু করে। তবে এ সবই সম্ভব হবে যদি আপনার বয়স ২৫ এর নিম্নে হয়ে থাকে তবেই। কারণ ২৫ বছর পর্যন্তই কেবলমাত্র আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে যখনই ব্যায়াম করবেন না কেন আগে কিছু ফ্রি হ্যান্ড বা হাল্কা দৌড়ে শরীর ব্যায়াম করার উপযোগী করে নিতে ভুলবেন না যেন।

সেই সাথে আরও খেয়াল রাখবেন যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম করলে দ্রুত উচ্চতা বাড়বে তা যদি ভেবে থাকেন তবে ভুল করবেন। বরং অতিরিক্ত ব্যায়াম অনেক সময় উচ্চতার বৃদ্ধি রোধ করে দেয়। তবে শুধু ব্যায়াম করলেই হবেনা। সুষম খাদ্যও গ্রহন করতে হবে। সেই সাথে জীবনযাত্রায় আনতে হবে পজিটিভ মনোভাব। এসবের সাথে ত্যাগ করতে হবে সব খারাপ জীবনাচার এবং খারাপ অভ্যাসগুলোকেও। তবেই সম্ভব হবে সুস্থতার সাথে আপনার উচ্চতার বৃদ্ধি।

 

The post নিয়মিত ৭টি ব্যায়ামের অভ্যাস করুন উচ্চতা বাড়াতে appeared first on Online Khobor.

সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করার উপায়

$
0
0

সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করার উপায়

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

পড়ালেখা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পার্টি কিংবা কাজের চাপ- রাত জাগার কারণ যাই হোক না কেন পর দিন সকালেই হয়তো ছুটতে হবে কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু রাত জাগার ফল স্বরূপ ঝিমুনি বা ক্লান্তি আপনার পিছু ছাড়বে না। আর যা আপনার শরীরে বা চেহারায় নিয়ে আসবে বিধ্বস্ত ভাব। তবে সামান্য কিছু পদক্ষেপ ঝিমুনি থেকে মুক্তি দিয়ে আপনাকে দিতে পারে একটি ফ্রেশ লুক।

ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন :

সারা রাত না ঘুমানোর ফলে আপনার চেহারায় ক্লান্তি ভাব চলে আসে। ঠাণ্ডা পানি আপনার চোখের ক্লান্তি দূর করে চেহারায় ফ্রেশ ভাব এনে দিবে।

গোসল করুন গরম পানিতে :

চেহারার বিধ্বস্ত ভাব কাটাতে এবং চাঙ্গা হয়ে উঠতে গরম পানিতে গোসল করুন। কারণ ঠাণ্ডা পানিতে ঘুমের উদ্রেক বেশি হয়। যার ফলে সারা দিন ঝিমুতে থাকবেন।

লেবু দিয়ে গরম পানি পান করুন :

শরীরের জড়তা কাটাতে কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করুন, কিংবা এক কাপ লেবুর চা। এটি মদ্যপায়ীদের মাথা ধরার উপশম হিসেবেও কাজ করে।

নিজেকে প্রতিদিনের থেকে একটু ভালভাবে তৈরি করুন :

একটি ভাল পোশাক আর সামান্য মেকাপ আপনার চেহারার ক্লান্তি ভাবকে ডেকে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের থেকে একটু আলাদা ভাবে তৈরি হোন।

পুষ্টিকর নাস্তা সেরে চা/কফি পান করুন :

সারা রাত না ঘুমানোর ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই নাস্তা হিসেবে এমন কিছু গ্রহন করুন যা শরীরের এনার্জি ফিরিয়ে দেবে। নাস্তার পর এক কাপ চা বা কফি পান করুন। কারণ চা বা কফির ক্যাফেইন আপনার শরীরকে প্রফুল্ল করে তুলবে।

পুষ্টিকর স্ন্যাকস খান :

না ঘুমানোর ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। আর এনার্জির অভাবে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। তাই পুষ্টিকর স্ন্যাকস খান যা আপনার শরীরকে শক্তি সরবরাহ করবে।

 

এই কাজগুলো আপনার ঘুমের অভাব পূরণ না করলেও ক্লান্ত ভাব দূর করে আরো কিছু সময় জেগে থাকতে ও কাজ করতে সহায়তা করবে। তবে ভালভাবে কাজ করতে ঘুমের বিকল্প নেই।

The post সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করার উপায় appeared first on Online Khobor.

ভাত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশী

$
0
0

ভাত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশী

অনলাইন খবর ডটকমঃ

ভাত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনার খবরে পৃথিবীর কমপক্ষে তিনশ কোটি মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ দুঃশ্চিন্তার পরিমাণটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের জন্য দুশ্চিন্তাটা একটু বেশি।কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব অঞ্চলের পানিতে আর্সেনিক বেশি সেসব অঞ্চলের ধান থেকে তৈরি চালেই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি৷

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার এবং ভারতের ইনস্টিটিউট অফকেমিক্যাল বায়োলজির গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় গবেষণা পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের ৪১৭ জন গ্রামবাসীকে নিয়ে কাজ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, উচ্চমাত্রার আর্সেনিকযুক্ত পানিতে চাষ করা ধান ক্যানসারে মৃত্যুর শঙ্কা বাড়ায়৷

ন্যাচার গ্রুপের সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৪১৭ জন গ্রামবাসীর জীবনযাপন, প্রতিদিন কতটুকু চালের ভাত খান এই দুটো বিষয় জানার পর, প্রত্যেককে বলা হয়েছিল রান্না করা ভাতের নমুনা এবং নিজেদের প্রস্রাবের নমুনা সরবরাহ করতে৷ সূক্ষ্ম অথচ জটিল এক পরীক্ষার পরই বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির মাধ্যমে চালেও বেশি আর্সেনিক চলে এলে সেই চালে রান্না করা ভাত মানুষকে ধীরে ধীরে নিয়ে যেতে পারে ক্যান্সারের কবলে৷

অন্যদিকে, কম আর্সেনিক সম্পন্ন চালে খুব সম্ভবত ক্যান্সারের ঝূঁকি কমে আসে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন চালে আর্সেনিক কম তা কিভাবে জানা যাবে? বাংলাদেশের মানুষদের আর্সেনিকযুক্ত চাল খেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি আসলে কতটা? দুটো প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন ব্রিটেনের ডি মনফর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পারভেজ হারিস৷পারভেজ বাংলাদেশের ঝুঁকি সম্পর্কে জানান, স্বতন্ত্র এক গবেষণার ফলাফলে তাঁরা দেখেছেন যে বাংলাদেশের অনেক চালে আর্সেনিকের মাত্রা বেশ কম৷ তবে কোন চালে আর্সেনিক কম, সেটা জানার যে এখনো কোনো উপায় নেই তা স্বীকার করে এ অবস্থার পরিবর্তন দাবি করেছেন তিনি৷

তার মতে, বাজারে শুধু প্যাকেটজাত চাল বিক্রি হলে এবং সেখানে আর্সেনিকের মাত্রা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দেয়ার ব্যবস্থা করলেই মানুষ টাকা খরচ করে ভালো চাল কিনে সুস্থ জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পাবে৷ দুঃখজনক ব্যাপার হলো – এখনো কোথাও চালের প্যাকেটে সেই তথ্য দেয়া হয় না৷ ডয়েচে ভেলে

The post ভাত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশী appeared first on Online Khobor.

মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া গেল ৮টি ফিতাকৃমির ডিম (ভিডিওসহ)

$
0
0

মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া গেল ৮টি ফিতাকৃমির ডিম (ভিডিওসহ)

অনলাইন খবর ডটকমঃ

টানা ৯ মাস ধরে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক নারী। গারল্যান্ডের রস্ট্রো নামের ৩১ বছরের ওই নারীর মাথায় যা পেলেন তা দেখে চমকে গেলেন চিকিৎসকরা। তার মস্তিষ্কে পাওয়া গেলো ফিতাকৃমির ডিম!এবিসি-এর নিউজ৮-কে ইয়াডিরা রস্ট্রো জানান, মাঝে মধ্যে আমার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতো। তখন আমি দেখতেই পারতাম না।

চিকিৎসকরা জানান, তার মগজ থেকে ৮টি ফিতাকৃমির ডিম বের করা হয়েছে। এই ডিমগুলো ক্রমশ বেড়ে উঠছিল। সম্ভবত দুই বছর আগে ওই নারী এমন কোনো খাবার খান যা থেকে এগুলো দেহে প্রবেশ করে। কিন্তু খাবারের সঙ্গে দেহে পরজীবী প্রবেশ করলে খাদ্যনালী বেয়ে সুবিধাজনক কোনো অংশে স্থান করে নেয় তারা। কিন্তু তা ঘটেনি। এগুলো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে রস্ট্রোর মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়।

মেথোডিস্ট ডালাস মেডিক্যাল সেন্টরে এক সার্জারির মাধ্যমে এগুলো অপসারণ করা হয়েছে। নিউরোসার্জন ড. রিচার্ড মেরাট বলেন, এগুলো দেখতে ডিমের মতো। এগুলোর মধ্যে ছোট্ট কৃমি বড় হতে থাকে। এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন রস্ট্রো।

The post মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া গেল ৮টি ফিতাকৃমির ডিম (ভিডিওসহ) appeared first on Online Khobor.

কনডম হতে পারে যৌন সংক্রমণ ব্যাধি ! জেনে নিন

$
0
0

 

কনডম হতে পারে যৌন সংক্রমণ ব্যাধি ! জেনে নিন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বা যৌন সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই কনডম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না কনডমেরও বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। নিচে সেই ক্ষতিকর দিকগুলোই তুলে ধরা হলো-

ল্যাটেক্স এলার্জি:

বেশিরভাগ কনডম ল্যাটেক্স নামক একধরনের রাবার দিয়ে তৈরি হয়। এই ল্যাটেক্স রাবার গাছ থেকে পাওয়া যায়। দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি জানিয়েছে, বেশ কিছু মানুষের ল্যাটেক্সে উপস্থিত প্রোটিনের থেকে এলার্জি হতে পারে। যদিও এটা খুব বিরল। ল্যাটেক্স এলার্জি হলে হাঁচি‚ নাক দিয়ে জল পড়া‚ চুলকানি‚ মাথা ধরা‚ মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অ্যানাফিলাক্সিজ হতে পারে যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যাদের ল্যাটেক্স এলার্জির সমস্যা আছে তাদের সিন্থেটিক কনডম ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু এই ধরনের কনডম খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়।

যৌন সংক্রমণ ব্যাধি হতে পারে:

কনডম ব্যবহার করলে বিভিন্ন যৌন সংক্রমণ ব্যাধি যেমন সিফিলিস, চলামিদয়া, গনোরিয়া এবং এইচপিভি’র হাত থেকে বাঁচা যায়। কিন্তু এছাড়াও বেশ কিছু সংক্রমণ আছে যেমন স্কাবিয়েস ইনফেকশন অ্যান্ড মলিউস্কাম কন্টাগিওজম যা ত্বকের বাইরের স্তরের ক্ষতি করে। কনডম ব্যবহার করলে জেনিটাল হার্পিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় কিন্তু পুরো জায়গাটাকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়। তাই যৌনসঙ্গীরও হার্পিস ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে।

গর্ভধারণের সম্ভাবনা এড়ানো যায় না:

বেশির ভাগ সময় গর্ভধারণ এড়াতে কনডমের ব্যবহার করা হয়। সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করলে ৯৮% অবধি গর্ভধারণ এড়ানো যায়। কিন্তু ঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ১০০ জন মহিলার মধ্যে দেখা গেছে ১৫ জন মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। তাই কনডমের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে এবং প্রতিবার নতুন কনডম ব্যবহার করতে হবে। তাও অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইন্টারকোর্সের সময় কনডম ছিঁড়ে গেছে। এবং গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

যৌনসঙ্গীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি:

বিদেশে চিকিৎসকরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানিয়েছেন পুরুষ কনডম থেকে মহিলারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। আসলে কালপ্রিট হল ট্যাল্ক নামের ড্রাই লুব্রিক্যান্ট‚ যা কনডমে লাগানো থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ট্যাল্ক ওভারিয়ান ক্যান্সার এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবে ফাইব্রোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। সার্জিকাল গ্লাভসেও নাকি এর ব্যবহার হয়। বিদেশে তাই অনেক জায়গায় এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কনডমে এটার ব্যবহার এখনো হয়ে চলেছে।

The post কনডম হতে পারে যৌন সংক্রমণ ব্যাধি ! জেনে নিন appeared first on Online Khobor.

যে ৫ টি কারণে আপনার আমড়া খাওয়া উচিৎ

$
0
0

যে ৫ টি কারণে আপনার আমড়া খাওয়া উচিৎ

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

আমড়া একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় দেশীয় ফল। প্রায় সব সময় পাওয়া যায় এই আমড়া। আমড়াতে রয়েছে অনেক পুষ্টি যা প্রায় তিনটি আপেলের পুষ্টির সমান। আপেলের চাইতে আমড়াতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমান বেশি রয়েছে। আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। যা আমাদের দেহের জন্য অন্তি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

আসুন জেনে নিই আমড়ার কিছু উপকারের কথা, যা হয়তো আমরা আগে জানতাম না।

১) ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ (a source of calcium):

ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনি ছাড়াও যে সকল সমস্যা দেখা যায় আমড়া তা প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমরা আমড়ার সাহায্য নিতে পারি।

২) ত্বক ভাল রাখে (for skincare):

ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ উপকার করে থাকে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক উজ্জ্বল রাখতে অত্যন্ত দরকার। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে খেতে পারেন আমড়া।

৩) রক্তস্বল্পতা রোধ করে (for the prevention of anemia):

আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। সাথে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখে।

৪) বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে (cures digestive problems):

আমড়াতে রয়েছে বিভিন্ন দ্রবণীয় ফাইবার এবং ফাইবার পাকস্থলীর ক্রিয়া প্রক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। ফলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত অস্বস্তিকর রোগ গুলোকে দূরে রাখার জন্য সাহায্য নিতে পারেন আমড়ার।

৫) সর্দি কাশি,ইনফ্লুঞ্জার বিরুদ্ধে কাজ করে (fights against common cold, influenza):

বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা করা ছাড়াও আমড়া সর্দি কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। যার ফলে নানা সংক্রমণ থেকে সহজেই বেঁচে থাকা যায়।

আমড়া (ambarella) একটি সহজলভ্য ফল। রাস্তায় পথ চলতে চলতে খেয়ে নিতে পারেন একটি আমড়া। তবে রাস্তা থেকে কিনলে প্রথমে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

The post যে ৫ টি কারণে আপনার আমড়া খাওয়া উচিৎ appeared first on Online Khobor.

প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া : লক্ষণ ও প্রতিকার

$
0
0

প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া : লক্ষণ ও প্রতিকার

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া সৃষ্টি করার প্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস এ ধরনের প্রদাহ ঘটায়। মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কলাই নামক জীবাণু শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহের কারণ।

এখানে অবশ্য আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার যেমন গরম আবহাওয়া বা শরীরে প্রচন্ড তাপের কারনে অনেক সময় পানি শূন্যতা দেখা দেওায়া বা অনেক সময় কিডনির নিঃসৃত পানি গরম থাকার জনা মুত্র নালীর প্রদাহে অনেক সময় জ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে, তবে তা সবাময়িক ইহা তে ঘাবড়ানোর মত কিছুই নাই তবে অনুরোধ থাকবে বারে বারে যাতে না হয় সে জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি বা ঐ জাতীয় কিছু পান করার।

লক্ষণ ও উপসর্গ

১. পিঠের পেছনদিকে উদরের নিচে ব্যথা|
২. পস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ব্যথা হওয়া সহ অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি।
৩. পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব কিন্তু খুবই সামান্য পস্রাবের নির্গমন।
৪. ঘোলাটে, কড়া গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাবের নির্গমন।
৫. পস্রাবের সাথে হলদেটে পদার্থের নির্গমন (মূত্রনালী দিয়ে)
৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় পীড়াদায়ক অনুভুতি বা ব্যথা পাওয়া।

কী করা উচিত

১. মদ, ক্যাফেইন, মশলাযুক্ত খাবার এবং এসিড সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করুন কেননা এগুলো আপনার পিত্ত থলিকে আরও বেশি সমস্যায় আক্রান্ত করে।
২. দৈনিক আট থেকে দশ গ্লাশ পানি খাবেন যাতে করে আপনার পস্রাবে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো গলে পস্রাব দিয়ে বেরিয়ে আসে। (তবে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যাবার আগে বেশি পানি খাবেন না, নচেৎ আপনার পস্রাবের ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব ঠিকমতো উদঘাটন করা সম্ভব হবে না।)
৩. একটা গরম কিছু বা হট ওয়াটার ব্যাগ বা বোতল চেপে ধরে ব্যথার þহানে রাখতে পারেন।
৪. যদি পস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দেয়া এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো আপনার শরীরে ইস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণ ঘটায় সেক্ষেত্রে টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম।

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ

১. যদি তীব্র ব্যথা জেগে ওঠে এবং এই ব্যথা আপনার পাঁজর পেছনে নিচ থেকে শুরু হয়ে আপনার যৌনাঙ্গের দিকে বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো কিডনিতে পাথরের সমস্যা।
২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং জ্বর দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং আপনার পিঠে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা হয়, কিংবা আপনার কোমরের কাছে বা কোমরের উপরে ব্যথা করে, সেক্ষেত্রে আপনার কিডনিতে ক্ষতের সমস্যা রয়েছে।
৩. আপনি যদি নারী হন এবং পস্রাবের সময় যদি কষ্ট হয় এবং সেই সাথে যদি একটানা ব্যথা থাকে আপনার পিঠের নিম্নাংশে কিংবা তলপেটে বা উদরে; যদি যৌন মিলনের সময় কষ্ট হয়, এবং/কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, কিংবা হঠাৎ হঠাৎ না হয় বা হলে খুবই বেশি রক্তপাত হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডোমাটরিওসিস বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ হয়েছে।
৪. যদি পস্রাবে কষ্ট হয় এবং একইসাথে উদ্ভট কোন পদার্থ পস্রাবের সাথে শিশ্ন কিংবা যোনী পথ দিয়ে নির্গত হয় সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো যৌন সাহচার্য ঘটিত সংক্রামক কোন রোগ হয়েছে।
৫. যদি আপনি একজন পুরুষ হন এবং পস্রাবের সময় আপনার জ্বালা-পোড়া হয় কিন্তু পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন, পস্রাব থেমে থেমে নির্গত হয়, বীর্যপাতে কষ্ট হয়, কিংবা পেলভিস বা শ্রোণীতে কিংবা পিঠের নিম্নাংশে যদি ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো প্রস্টেট-এর সমস্যা রয়েছে।
৬. যদি আপনার পস্রাব রক্তাক্ত দেখা যায় কিংবা ঘোলাটে দেখা যায়
৭. যদি আপনার পস্রাবে জ্বালা পোড়া হয় কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে।
৮. যদি এই লক্ষণগুলো অপসারিত না হয় এবং চিকিৎসা স্বত্তেও লক্ষণগুলো আবার জেগে ওঠে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেনঃ

১. প্রতিদিন নূন্যতম আট গ্লাস পানীয় খান সাথে পানি প্রচুর পরিমাণে পান করুন। ক্রানবেরির জুস খেতে পারেন, এটা মাঝে মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া থেকে শরীরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. পস্রাবের তাগিদ অনুভব করলে পস্রাব দমিয়ে রাখবেন না। এবং প্রতিবার পস্রাবের সময় আপনার মূত্রথলিটি পুরোপুরি খালি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে যত্নশীল হোন।
৩. যৌন সংসর্গের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন, কেননা এর ফলে যৌনমিলনের দরুন আপনার যৌনাঙ্গে কোন ব্যাকটেরিয়া গিয়ে থাকলে সেটা বেরিয়ে আসবে।
৪. বুদবুদ ওঠা পানিতে স্নান এড়িয়ে চলুন এবং সুগন্ধীযুক্ত টয়লেট্রিজগুলোও বর্জন করুন। একটা মৃদু এবং গন্ধহীন সাবান নিয়ে আপনার নিম্নাঙ্গের পরিধেয়গুলো ধৌত করুন। সুগন্ধীযুক্ত এবং রুক্ষ বা ক্ষারীয় পণ্যগুলো মূত্রনালী এবং এর চারপাশের ত্বকে প্রদাহ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫. সুতির কাপড়ের তৈরি নিম্নাঙ্গের বস্ত্রাদি পরিধান করুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।
৬. আপনার যৌনাঙ্গ প্রতিদিন একবার পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করুন।

মহিলাদের ক্ষেত্রে:

১. আপনি যদি ডায়াফার্ম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে এটা উষä ফেনায়িত জলে ধুয়ে সাবধানে জল নিংড়িয়ে শুকতে দিন। যদি আপনার ইনফেকশান বা ক্ষতগুলো পুন:পুন: জন্মাতে থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন সেটা কি ডায়াফার্মের সঠিক আকার না হবার কারণে ঘটছে কি না। যদি আকার পরিবর্তন করার পরও আপনার সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রনের অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
২. মূত্রনালীকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে সবসময় টয়লেট থেকে বেরোবার আগে নিজেকে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।

The post প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া : লক্ষণ ও প্রতিকার appeared first on Online Khobor.


যেসব টেস্ট ৩০ বছর বয়সে অবশ্যই করা উচিত

$
0
0

যেসব টেস্ট ৩০ বছর বয়সে অবশ্যই করা উচিত

অনলাইন খবর ডটকমঃ

বয়সের সাথে বাড়ে শারীরিক জটিলতা৷ কিছু রোগের সূত্রপাত শুরু হয় ৩০ বছর বয়স থেকেই৷ তাই এই সময় থেকেই কিছু পরীক্ষা করে রাখা প্রয়োজন৷ এইসব পরীক্ষা আপনার শারীরিক সুস্থতা বুঝতে সাহায্য করবে৷ দেখে নিন চিকিৎসকদের মতে কী কী পরীক্ষা প্রয়োজন আপনার শরীর সুস্থ আছে কি না জানতে৷

১। ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা যে কোনো সময় যে কারো হতে পারে। আপনার বয়স যদি ৩০ হয় এবং এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস পরীক্ষা না করে থাকেন তবে আজই পরীক্ষা করুন। নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য ৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি। যেসব নারী অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এবং সন্তানসম্ভবা, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের এফপিজি, ওজিটি এবং এইচবিএওয়ানসি অথবা গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট করাও জরুরি।

২। থাইরয়েড

৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই থাইরয়েডের পরীক্ষা করা জরুরি। শরীরে হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপো থাইরয়েডিজম, থাইরয়েড ক্যানসার, থাইরয়েডিটিস আছে কিনা জানতে এই পরীক্ষা করা হয়। আর এগুলো দেখতে এফটিফোর, টিপিও, টিএসএইচ, মাইক্রোসোমাল অ্যান্টিবডি, এফটিথ্রি, এবং এটিএ থাইরোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।

৩। অ্যানিমিয়া

এই রোগটি দেখা যায় যখন রক্তে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রনের অভাব হয়। রক্ত ভালো আছে কিনা জানতে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি), ভিটামিন বি ১২ টেস্ট, সিরাম আয়রন টেস্ট, টিআইবিসি (টোটাল আয়রন বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি), ট্রান্স ফেরিন এবং আয়রন স্যাচুরেশন টেস্ট করানো উচিত।

৪। সিবিসি টেস্ট

সিবিসি টেস্ট বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট অন্তত বছরে একবার করা উচিত। এই পরীক্ষা করার ফলে হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা (সেল) এবং প্লেটেলেট গণনা করা হয়। শরীরের রক্তের কী অবস্থা তা সিবিসি চেকআপের মাধ্যমে জানা যায়।

৫। এসটিডি

৩০ বছর বয়স হলে এইচিআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সাধারণত এইচআইভি/ এইডস, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, হারপেস এবং গনোরিয়া রোগে এসটিডি পরীক্ষা করা হয়।

সূত্র : কোলকাতা ২৪

The post যেসব টেস্ট ৩০ বছর বয়সে অবশ্যই করা উচিত appeared first on Online Khobor.

শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হলে কী করবেন ? জেনে নিন

$
0
0

শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হলে কী করবেন জেনে নিন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

ঘামে অনেকেরই নাজেহাল অবস্থা হয়৷ এমনভাবে ঘামে জামা কাপড় ভিজে যায় যে দেখলে মনে হয় যেন গোসল করেছেন৷ যার এই ঘামের অভিজ্ঞতা রয়েছে তিনিই জানেন এতে কতটা অস্বস্তি৷ শুধু যে জামা কাপড় ভিজে যায় তাই নয় তার সঙ্গে শরীর দুর্বল লাগা, লোকসমাজে ঘামের গন্ধে লজ্জায় পড়া খুবই অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা৷

কিডনি মানব শরীরে ছাঁকনির কাজ করে। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ কিডনির ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়৷ কিন্তু ঘামের সঙ্গে কিডনির সম্পর্ক কী! ঘামের সঙ্গে শরীরের অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই বোধহয় প্রাচীন যুগে কিডনি বিকল হলে ডায়ালাইসিস করার ব্যবস্থা না থাকায়, রোগীকে গোটা কতক কম্বল চাপা দিয়ে রাখা হতো। এর ফলে কিডনি ফেইলিওর রোগীর শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হতো। শরীরের কিছুটা বর্জ্য পদার্থ ঘামের সাহায্যে বেরিয়ে যাওয়ায় রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করত। তাই এ কথা বলাই বাহুল্য, শরীর সুস্থ রাখতে এবং শরীরের মধ্যে থাকা অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে ঘাম অপরিহার্য।তবে সবাই সমান ঘমেন না৷ কারও শরীরে ঘাম বেশি হয় কারো আবার ঘাম কম হয়৷

দেখে নেয়া যাক কেন ঘাম বেশি হয় :

ঘাম বেশি না কম হবে তা কিছুটা নির্ভর করে বংশগতির ওপর। কিছুটা পরিবেশের ওপর। অনেকটাই শারীরিক পরিশ্রমের ওপর এবং মানসিক অবস্থা অর্থাৎ উৎকণ্ঠা, টেনশন আছে, না মানসিক ধৈর্যের অধিকারী তার ওপর। তবে কম-বেশি যাই হোক না কেন, ঘাম সবারই হয়।

খাদ্যাভ্যাস, ঘাম এবং দুর্গন্ধ :

অ্যাপোক্রিন ঘাম মানুষের শরীরে গন্ধ সৃষ্টি করে। বাহুমূল ও যৌনাঙ্গে এই অ্যাপোক্রিন ঘামের উৎপত্তি। বংশগত কারণে এবং কখনও যথাযথ পরিচ্ছন্নতার অভাবে কারও কারও শরীরে অত্যন্ত বাজে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এটি দূর করতে একাধিকবার গোসল ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল লোশন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সুগন্ধি, ডিওডোরেন্ট ও পারফিউম লাগানো যেতে পারে। ট্রাইক্লোসামযুক্ত সাবান ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।

খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে গায়ের গন্ধের একটা সম্পর্ক আছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত রসুন এবং মাংস খেলে সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা যথাযথ না হলে ঘামে প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। প্রতিকার হিসেবে জেন্টামাইসিন, ওসিসোমাইসিন জাতীয় লোশন দিনে দুবার লাগাতে হয়।

বেশি ঘাম হলে কী খাবেন :

বেশি ঘাম হলে অনেকেই বেশি করে পানি পান করেন। কিন্তু শুধু পানি নয়, নুন, চিনি ও পাতিলেবু মিশিয়ে শরবত করে পানি পান করুন। কারণ, ঘামের সঙ্গে কিছু দূষিত পদার্থ ও তার সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম ও যৎসামান্য পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ইত্যাদির তারতম্যের জন্য শরীর অত্যন্ত দুর্বল ও অস্থির লাগে। এসব প্রতিরোধ করতে যথাযথ ডায়েটের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ঘাম হলে পানির পিপাসা পায়, তাই বেশির ভাগ মানুষই প্রচুর পানি পরিমাণে পান করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন বেশি করে শরবত খেতে।

এছাড়াও বেশি ঘাম হলে যা খেতে হবে

১. গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাবের পানি খেতে পারেন। প্রথমত ঘোল ভালো লাগে, দ্বিতীয়ত দইয়ে থাকা র‌্যাকটিক এসিড চটজলদি হজম করাতে সাহায্য করে। ডাবে থাকা পটাশিয়ামও শরীর তরতাজা রাখতে পারে।

২. কাঁচা আমপোড়ার শরবতও শরীর ঠাণ্ডা রাখে।

৩. বয়স্ক মানুষদের ঘাম বেশি হলে অবিলম্বে নুন লেবুর শরবত খাওয়ানো দরকার, না হলে হঠাৎ জ্ঞান হারাতে পারেন।

৪. গরমে ঘাম বেশি হয় বলে এ সময়ে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার পানি, শরবত ও পাতলা চা খেলে শরীরের পক্ষে ভালো হয়।

৫. যাদের সারাক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করতে হয় তারা সঙ্গে নুন, লেবু, চিনি সম্ভব হলে ছাতু মিশিয়ে শরবত করে সঙ্গে রাখুন। শরীর দুর্বল লাগলে ও ঘাম বেশি হলে দু-তিন ঢোঁক করে খেতে পারেন। কাজে এনার্জি পাবেন। তবে গরমকালে পিপাসা লাগুক আর না-লাগুক, দু-তিন লিটার পানি খেতে হবে তা কিন্তু নয়, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানির পিপাসা পায়, সেই অনুযায়ী পানি খেতে হবে।

৬. পানি ঢালা ঠাণ্ডা ভাত (পান্তা ভাত) খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে, ঘুমও ভালো হয়।

৭. গরমে ফল বেশি করে খেলে পানির পিপাসা অনেকটাই কমে। তার সঙ্গে ফলে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। জামরুল, তরমুজ, লিচু, শসা, পাকা পেঁপে, পাকা আম যথেষ্ট পরিমাণে খাবেন। পাকা আমের ভিটামিন ‘এ’ ভবিষ্যতের জন্য শরীরে স্টোর করা যায়।

৮. কোল্ড ড্রিংসের বদলে টেট্রা প্যাকের জুস ভালো, তবে সবচেয়ে ভালো বাড়িতে তৈরি ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল।

৯. গরমের সময়ে বেশি তেলমসলা দেয়া মাটন, চিকেন, মাছ না খেয়ে মুরগির স্টু, মাছের পাতলা ঝোল- এই ধরনের খাবার খেলে ভালো হয়। তবে প্রত্যেকের খাবারের রুচি ও সহ্য ক্ষমতা আলাদা আলাদা হওয়ায় গাইডলাইন অনুযায়ী শরীর বুঝে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।

The post শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হলে কী করবেন ? জেনে নিন appeared first on Online Khobor.

জেনে নিন কতটুকু লম্বা হওয়া ভালো?

$
0
0

জেনে নিন কতটুকু লম্বা হওয়া ভালো

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

জেনে নিন কতটুকু লম্বা হওয়া ভালো? লম্বা হওয়ার  জন্য কতই না কসরত মানুষের! বিশেষ করে এখনকার মা-বাবাদের তো সন্তানের লম্বা হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এই সুযোগে বিভিন্ন শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে – খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের লম্বা করে দেওয়ার।

অনেক শিশু আবার সাইকেল চালিয়ে,ব্যায়াম করে  কিংবা ঝুলন্তবাবু  হয়ে  লম্বা  হওয়ার  চেষ্টা চালায়। বলাই বাহুল্য এসবের  বেশির ভাগই বিফল হয়। অনেকেই তখন হীন্মন্যতায় ভোগে । বড়দের মধ্যেও এই হীন্মন্যতা কম নয়। তবে তাদের  হীন্মন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বেশি লম্বা হওয়াও তেমন ভালো নয় !  বিশেষ করে ক্যানসারের মতো  ভয়ংকর রোগ হয়ে থাকে লম্বা মানুষদের।  একদল ব্রিটিশ গবেষক  ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত  ১.৩ মিলিয়ন নারীদের  ওপর গবেষণা  চালিয়ে দেখেন  দীর্ঘাকায়  মহিলাদের  স্তন, অন্ত্র, কিডনি, মলদার, রক্তের ক্যানসার লিউকেমিয়াসহ ১০ রকমের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা খর্বকায়দের চেয়ে বেশি।

গবেষকরা দেখান যে, ৫ ফুটের উপরে প্রতি ৪ ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধির  জন্য ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৬ গুণ বেড়ে যায় মহিলাদের। পুরুষদের  ক্ষেত্রেও এটি প্রমাণিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল লেন্সেটে। লেন্সেটের আগস্ট ইস্যুতে  প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে জানা যায় লম্বা পুরুষদের   প্রস্টেট  ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্রিটিশ গবেষক  ডা. জেন গ্রিন তাঁর গবেষণায় দেখান যে, ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির ওপরে  প্রতি  ইঞ্চি লম্বা হওয়ার সাথে সাথে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৩ শতাংশ বেড়ে যায়।

এদিকে, একদল ইউরোপিয়ান গবেষক পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, প্রতি ১০ বছরে  ইউরোপীয়দের গড় উচ্চতা ১ সেন্টিমিটার  করে বাড়ছে আর মানুষের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করে বাড়ছে।
এসব তথ্য জেনে যেকোনো খর্বকায় মানুষই বাঁকা হাসি দিয়ে বলতে পারেন— ‘অতি বাড় বেড়  না  …’

লেখক : শিশু বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

The post জেনে নিন কতটুকু লম্বা হওয়া ভালো? appeared first on Online Khobor.

আপনি জানেন কি হার্টের ঝুঁকি তরুণীদের বেশী কেন ?

$
0
0

আপনি জানেন কি হার্টের ঝুঁকি তরুণীদের বেশী কেন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

আপনি জানেন কি হার্টের ঝুঁকি তরুণীদের বেশী কেন ? রোগ মানেনা, বোঝেনা বয়স। যেকোন বয়সেই রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে। তরুণী আক্রান্ত হতে পারে হার্ট বা হৃদরোগে।বছর ছাব্বিশের ঝকঝকে তরুণী সোমঋতা। সম্প্রতি একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছে। চাকরির আগে ডাক্তারি পরীক্ষায় সব স্বাভাবিকই ছিল।অথচ ছ’মাসেই তাকে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। স্কুল শিক্ষিকা অনুরাধা সেন। বয়স তিরিশ। একদিন ক্লাস নিতে নিতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলেন। হাসপাতালে আনা হলে বোঝা গেল হার্ট অ্যাটাক।এ রকম উদাহরণ রয়েছে ভূরি ভূরি। একটা সময় পর্যন্ত ধারণা ছিল, হার্ট অ্যাটাক মূলত পুরুষের এবং বয়স্কদের অসুখ। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ ধারণা বদলেছে।

ইদানীং হার্ট অ্যাটাক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন যারা, তাদের একটা বড় অংশই কমবয়সি ও মহিলা।২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে পালন করা হয়। তার আগে চিকিৎসকেরা জানান, জিনগত কারণে বা জন্মগত ভাবে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে হার্টের অসুখ থাকতে পারে। তবে যাদের কিছুটা পরের দিকে হার্টের অসুখ দেখা দিচ্ছে, তাদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।

ইদানীং মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়ছে কেন? চিকিৎসকদের মতে, আজকের এই গতিময় জীবনে কর্মক্ষেত্রের টেনশন, বাতানুকূল পরিবেশে বসে কাজ করার অভ্যাস, কম পরিশ্রম, অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া এবং ধূমপান-পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলকেই ঠেলে দিচ্ছে বিপদের মুখে।

তা ছাড়াও এদের মধ্যে অনেকেরই কমবেশি ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রবল উদ্বেগজনিত সমস্যার শিকার। হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক বিশ্বকেশ মজুমদার বলেন, “আগে দিনে আট থেকে দশ জন হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আসতেন হাসপাতালে। আর এখন সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। যে সব রোগী আসছেন, তাদের আশি শতাংশই আবার ডায়াবেটিসে ভুগছেন।”হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “মেয়েদের শরীরে থাকা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন হার্টের অসুখ রুখে দিতে সাহায্য করে। তাই হিসেব মতো মেয়েদের ক্ষেত্রে মেনোপজের আগে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম।

তবে এখন এই তত্ত্ব বহু সময়েই খাটছে না। আর হার্ট অ্যাটাক হলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিপদ বেশি।’ এ বিষয়ে একমত হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক সত্যজিৎ বসুও।তিনি বলেন,“যেহেতু মেয়েদের শরীরের আকার ছেলেদের তুলনায় কিছুটা ছোট, তাই তাদের ধমনীগুলিও তুলনায় কিছুটা সরু। সে কারণেই হার্ট অ্যাটাক হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিপদটা অনেক বেশি।’

বিশ্বকেশবাবু বলেন, “আজকাল মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ যেমন করছে তেমনই ছেলেদের বদভ্যাসগুলোও ধরে ফেলছে। আমাদের দেশে মেয়েরা আগে এত ধূমপান করত না।এ কারণেই কিন্তু বাড়ছে হাইপার টেনশন। এ ছাড়াও অনেক মেয়েই আজকাল জীবিকার প্রয়োজনে মা হতে অনেক দেরি করছেন। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে। তা থেকেই বাড়ছে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক।’

তবে চিকিৎসকেরা মনে করেন, একটু সচেতন হলেই মহিলারা হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা এড়াতে পারবেন। তাঁদের মতে, মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্টের অসুখের উপসর্গগুলি হল- হঠাৎ ক্লান্ত বোধ করা, ঘুমে ব্যাঘাত, নিঃশ্বাসের সমস্যা, হজমের গোলমাল এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।

এ রকম কিছু লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এর পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ, পরিমিত আহার (কম ফ্যাট এবং মাপমতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া), এবং নিয়মিত ব্যায়াম দূরে রাখবে হার্ট অ্যাটাককে।এ ছাড়াও বিয়ের তিন বছরের মধ্যে সন্তান এবং যতটা কম সম্ভব গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

The post আপনি জানেন কি হার্টের ঝুঁকি তরুণীদের বেশী কেন ? appeared first on Online Khobor.

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন

$
0
0

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন

অনলাইন খবর ডটকমঃ

 

হুটহাট ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। ভাবেন, সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দেয়ার চাইতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনকি ঘুমের ঔষধের নাম জানা রয়েছে বলে অনেকেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেন না একেবারেই। নিজেই নিজের ডাক্তার হয়ে ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ কিনে নিয়ে আসেন। এবং আমাদের দেশের ফার্মেসীগুলোতেও যথারীতি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ঔষধ বিক্রয় করার কারণে ঘুমের ঔষধ কিশোর বয়স থেকে বয়স্ক মানুষ সকলেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এর খারাপ দিকগুলো কতোটা মারাত্মক? অনেকেই এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। রাতে একটু ঘুমের আশায় আপনি যে বিষ খেয়ে চলেছেন তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন আমাদের আজকের ফিচারে।

১) নেশাগ্রস্ত হওয়া
আপনি যখন থেকে ঘুমের ঔষধ খাওয়া শুরু করবেন তখন থেকে আপনার দেহ নিজের মধ্যেই একধরণের সহ্য ক্ষমতা তৈরি করে নেবে। অর্থাৎ আপনি যে পাওয়ারের ঔষধ খাওয়া শুরু করেছেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সে পাওয়ারের ঔষধে কোনো কাজই হবে না। বরং আপার দেহ আরও পাওয়ারের ঔষধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেবে। এরপর দেহের স্বাভাবিক হরমোনের সমস্যা দেখা দেবে এবং সেই সাথে আরও নানা সমস্যায় জর্জরিত হবেন আপনি। এক পর্যায়ে ঔষধ ছাড়া ঘুমানোর কথা ভাবতে পারবেন না আপনি। তাই শখ করে ২/১ টি পিল খাওয়া বন্ধ করে দিন। এবং ঘুমাতে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলুন।

২) ঘোরের মধ্যে থাকা
ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিপোর্টে জানা যায় ঘুমের ঔষধের রেশ শুধুমাত্র রাতেই কেটে যায় না। বরং পুরো দিন তন্দ্রাচ্ছন্ন করে রাখে এবং সেই সাথে যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তারা একধরণের ঘোরের মধ্যে চলে যায়। এটি এক পর্যায়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সুতরাং সাবধান।

৩) মানসিক সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা
দীর্ঘসময় ঘুমের ঔষধ সেবনের ফলে ঘুমের মধ্যে হাটার সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। অনেকেই আংজাইটিতে ভোগেন এবং খুবই খিটমিটে মেজাজ প্রকাশ করতে থাকেন।

৪) ক্যান্সার ও মৃত্যুর আশংকা
গবেষণায় দেখা যায় যারা ঘুমের ঔষধ সেবন করেন তাদের অন্যান্যদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে। ঘুমের ঔষধ অনেকাংশেই দেহে ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ঘুমের ঔষধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণ।

* যদি অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে চিকিৎসক ঘুমের ঔষধ সেবনের কথা তার প্রেসক্রিপশনে লিখে থাকেন তবেই ঘুমের ঔষধ খাওয়া উচিত।

The post অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন appeared first on Online Khobor.

Viewing all 168 articles
Browse latest View live