অনলাইন খবর ডটকমঃ
মনে রাখবেন, শরীরের অন্যতম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাঁচি। জোর করে হাঁচি বন্ধ করলে ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কেউ হাঁচি দিলে শুনবেন, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। কেন বলেন জানেন?
কারণ, হাঁচি সত্যিই মঙ্গলকারক। হাঁচি আমাদের গুরুতর কোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। অন্যের সামনে হাঁচি দেয়াটা অস্বস্তিকর হতে পারে, কিন্তু কখনো হাঁচি দিতে ভুল করবেন না। এটা স্বাস্থ্যকর। হাঁচি আটকাবেন না। জেনে রাখুন, হাঁচি আটকালে কি ধরনের ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে?
১। হাঁচির মাধ্যমে নাক দিয়ে ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে বাতাস বের হয়। জোর করে হাঁচি বন্ধ করা হলে সেই চাপ কানে যায়। ফলে কানের পর্দা ফেটে পর্যন্ত যেতে পারে।
২। হাঁচি বন্ধ করলে শ্রবণ শক্তির ক্ষতির পাশাপাশি মাথা ঘোরার সমস্যা হয়, যা খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয় না।
৩। হাঁচি বন্ধ করলে চোখের সূক্ষ্ম শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাপের ফলে শিরা ফেটে যেতেও পারে।
৪। হাঁচির আচমকা দমকা বাতাস বন্ধ করলে ঘারের আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা থাকলে আরো বিপজ্জনক।
৫। হাঁচির ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়। হাঁচি বন্ধ করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে থেকে রোগ সৃষ্টি করে।
৬। হাঁচি বন্ধ করলে সবথেকে মারাত্মক বিপদ হচ্ছে মস্তিষ্কের শিরা ছিঁড়ে স্ট্রোক হতে পারে।
তাই কারো সামনে হাঁচি এলে লজ্জা পাবেন না। এতে আপনাকে যে মূল্য দিতে হবে তা অপূরণীয়। বরং রুমাল হাতে রাখুন এবং হাঁচি দিন।
The post হাঁচি আটকালে যেসব ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে আপনার appeared first on Online Khobor.